সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতন যেন এক বিরাট ভূমিকম্প। যা প্রায় ৮,০০০ মাইল দূরে থাকা বস্তুর ওপরও তরঙ্গের মত খেলে গিয়েছে। এই ব্যাংকের পতন ভারতের বেশ কয়েকটি স্টার্ট-আপের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপদের ঘণ্টা বাজিয়েছে। আটকে গিয়েছে ওই সব সংস্থার লক্ষ লক্ষ ডলার লেনদেন। আর, যদি শেষ মুহুর্তে মার্কিন সরকার হস্তক্ষেপ না-করে, এই ব্যবসাগুলোর বেশিরভাগই প্রায় লাটে উঠবে। যার জেরে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটবে। কোনও কোনও সংস্থা তো উঠেই যাবে। গত সপ্তাহে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কয়েক হাজার ভারতীয় সদ্য গজিয়ে ওঠা সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে, সংকট আপাতত এড়ানো গিয়েছে বলেই মনে করছেন শিল্পপতিরা।
মূল কেন্দ্রবিন্দু
এই সংকটের মূল কেন্দ্রবিন্দু হল ৪০ বছর বয়সি সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। এই ব্যাংকের উন্নতি বেশ ভালোই ঘটছিল। কিন্তু, উন্নতি বেশিমাত্রায় ঘটাতে এই ব্যাংক বেশি পরিমাণ ঝুঁকি নেওয়া শুরু করে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্টার্ট আপ সংস্থাকে ঋণ দেওয়া শুরু করে। এটা ভারতে নতুন উদ্যোগ শুরুতে উৎসাহ দেয়। বিশেষ করে সফটওয়্যার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়া শুরু করে।
সফটওয়্যার সংস্থাগুলোকে উৎসাহ
ভারতের এই সফটওয়্যার সংস্থাগুলোর ক্লায়েন্ট আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। এই সব সংস্থাগুলোকে বিধিনিষেধে ছাড় দিয়েই ঋণদান শুরু করে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ব্যাংকের আইনজীবী এবং হিসাবরক্ষকদের একটি বিরাট নেটওয়ার্ক ছিল। যারা ব্যাংকের অগ্রগতির জন্য ভারতীয় স্টার্ট আপ সংস্থাগুলোকে ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
আরও পড়ুন- বিদেশে পাচার একের পর এক ভারতীয় পুরাকীর্তি! এই ব্যাপারে কী বলে আইন?
নতুন সংস্থাগুলোর বড় ভরসা
অন্যান্য ব্যাংকগুলো স্টার্ট আপ সংস্থাগুলোকে ঋণ দেওয়ার আগে দশবার ভাবে। লক্ষ্য একটাই থাকে, তাদের লাভের অঙ্কে যেন কোনও পরিবর্তন না-হয়। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক কিন্তু সেসব দেখেনি। এই ব্যাংকের এক প্রতিষ্ঠাতা এর আগে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'কয়েক বছর আগে পর্যন্তও এমন পরিস্থিতি ছিল যে কেবলমাত্র সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকই স্টার্ট আপ সংস্থাগুলোকে ঋণ দিত।'