চিনকে বহুমুখী বার্তা দেওয়া জরুরি, মত প্রাক্তন বায়ুসেনা আধিকারিকের

তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে যুদ্ধ-কৌশলের স্রেফ একটি পদক্ষেপের দ্বারাই পিএলএ নিরস্ত হবে, এমনটা ভেবে নেওয়া উচ্চাভিলাষের পরিচয়।

তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে যুদ্ধ-কৌশলের স্রেফ একটি পদক্ষেপের দ্বারাই পিএলএ নিরস্ত হবে, এমনটা ভেবে নেওয়া উচ্চাভিলাষের পরিচয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
india china border news

নয়া দিল্লিতে চিন-বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে কালিমালিপ্ত চিনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং

ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) কম্যান্ডারদের মধ্যে আলোচনা থেকে উঠে এসেছে দুই দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ধাপে ধাপে ফৌজ সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা। তবে পিএলএ সম্ভবত সেনা মোতায়েন করছে, এই জল্পনার প্রেক্ষিতে এই আলোচনার ফলে কতটা সেনা-মুক্ত হবে ওই এলাকা, তা বলার সময় এখনও আসে নি।

Advertisment

এখানে তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো: চিনকে কীভাবে ঠেকানো যায়?

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে একটি সম্পাদকীয়তে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল তথা সামরিক ইতিহাসবিদ অর্জুন সুব্রহ্মন্যম অতীতের বেশ কিছু উদাহরণ দিয়ে বলেছেন যে "যুদ্ধ-কৌশল সম্বন্ধীয় স্থানীয় পদক্ষেপের বিরাট ক্ষমতা রয়েছে সামগ্রিক কৌশলগত প্রভাব সৃষ্টি করার"।

আরও পড়ুন: আমাদের বয়ন শিল্প থেকে চিনকে মুছে ফেলা যাবে না

তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে যুদ্ধ-কৌশলের স্রেফ একটি পদক্ষেপের দ্বারাই পিএলএ নিরস্ত হবে, এমনটা ভেবে নেওয়া উচ্চাভিলাষের পরিচয়। তাঁর বক্তব্য, "ভারত একাধিক জায়গায় প্রতিক্রিয়া দিলে তবেই কড়া বার্তা যাবে।"

Advertisment

এই মুহূর্তে দুই দেশের পক্ষেই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিরে যাওয়া। ভাইস মার্শাল সুব্রহ্মন্যম লিখছেন, "সীমিত পরিসরে সংঘর্ষের পথ এখনও খোলা, তবে দুই দেশের পক্ষেই COVID-19 এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফেরা জরুরি, বিশেষ করে ভারতের, কারণ একাধিক সঙ্কটের মোকাবিলা করতে গেলে যে পরিসরের প্রয়োজন, তা ভারতের তুলনায় চিনের কাছে বেশি।"

তবে তিনি এও মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে সীমান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে যদি পরিবর্তনমূলক কোনও কৌশলের হদিসমাত্র পাওয়া যায়, তবে ভারতের উচিত, আলোচনার স্বার্থে রাজনৈতিক-কূটনীতিক-সামরিক-ইন্টেলিজেন্স কাঠামো গঠন করা।

তিনি লিখেছেন, "উল্লিখিত চারটি দিকের তিনটিকে (কূটনীতিক, সামরিক, ও ইন্টেলিজেন্স) একে অন্যের ওপর ভরসা করতে হবে, এবং প্রক্রিয়াগত স্তরে সমান্তরাল ভাবে আলোচনা চালাতে হবে, যা সর্বোচ্চ স্তরে রাজনৈতিক আলোচনার গিয়ে মিশবে। একমাত্র তখনই ধোঁয়াশা কাটবে কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে - যেমন মানচিত্র প্রকাশ করা, সীমানির্দেশ, রেখা চিত্রণ, বিপদের আশঙ্কা, এবং নানা বিতর্কিত এলাকা জুড়ে দেওয়া-নেওয়ার সম্ভাবনা।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন