কোভিড-১৯ মহামারীর উৎপত্তি অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতের প্রাদুর্ভাব নিয়ে অনুসন্ধানের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তার প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল গড়েছিল হু। যাতে ছিলেন বিশ্বের ২৬ জন বিশেষজ্ঞ। অক্টোবরে তৈরি হয়েছিল এই বিশেষজ্ঞ কমিটি।
কমিটির নাম দেওয়া হয়েছিল, 'বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা গ্রুপ ফর দ্য অরিজিন অফ নভেল প্যাথোজেনস (SAGO)'। সেই তদন্তের রিপোর্ট বলেছে, কোনও ল্যাবরেটরি থেকে ছড়ায়নি। বরং, বাদুড় বা এই জাতীয় কোনও প্রাণীর থেকে কোভিড ছড়িয়েছে। এর আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট, একই দাবি করেছিল। হু-এর নতুন রিপোর্ট, কার্যত সেই দাবিরই প্রতিধ্বনি করেছে।
হু-এর রিপোর্টে বাদুড় সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে জুনোটিক উত্সই করোন ভাইরাসের বিস্তারের কারণ। চিনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম সেটি মানবদেহে ছড়ায় বলে জানা যায়। এরপর পশুর দেহের বদলে এক মানুষের শরীর থেকে অন্য মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে করোনা।
কেন করোনার উত্স জানা যায়নি?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রান্ত বহু নথি এখনও মেলেনি। তার মধ্যে চিনের বেশ কিছু নথি আছে। তার ফলেই করোনার উত্স সন্ধানে এত বিলম্ব হয়েছে। তবে, চিনও নেহাত কম তথ্য দেয়নি। যেমন, চিনা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে উহানে ৪০ হাজার বাসিন্দার রক্তের নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল।
সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ওই সব নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০০টিরও বেশি নমুনায় প্রাথমিকভাবে Sars-CoV-2 ভাইরাস পাওয়া যায়। যদিও করোনা পরীক্ষায় সেসব ধরা পড়েনি বলেই জানিয়েছেন উহানের বিজ্ঞানীরা। তবে, একটুকু তথ্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি হু-এর বিজ্ঞানীরা। তাঁরা উহানের বিজ্ঞানীদের থেকে আরও বেশি তথ্য চেয়েছেন।
আরও পড়ুন- পারভেজ মুশারফ ভুগছেন গুরুতর অসুখে, জানেন কী সেই অসুখ, কী তার চিকিৎসা
ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ কি সত্যি হতে পারে?
এই ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুসন্ধানকারী কমিটি জানিয়েছে, তাদের কাছে অত তথ্য নেই। সেই কারণে, অভিযোগ সত্যি কি না, তা বলা সম্ভব নয়।
Read full story in English