এবারই প্রথম নেওয়া হয়েছিল 'হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচি। আগের মত শুধু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন নয়। এবার বহু বাড়িতেই উত্তোলিত হয়েছে জাতীয় পতাকা। এই পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে, পরবর্তী সময়ে জাতীয় পতাকা কোথায় এবং কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এই প্রশ্ন ওঠার কারণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার মতই, তা রক্ষণাবেক্ষণেরও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। ২০০২ সালের পতাকাবিধি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে যে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষই না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এমনকী বেসরকারি ও সরকারি সংস্থাও জাতীয় পতাকা রক্ষণাবেক্ষণের বিধি ঠিকমতো মানে না। অথবা, সেই বিধি মানায় গাফিলতি আছে। ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি জাতীয় পতাকাবিধি কার্যকর হয়েছে।
পতাকা ভাঁজ করার বিধি
কীভাবে ধাপে ধাপে পতাকা ভাঁজ করতে হবে, সংস্কৃতি মন্ত্রক চলতি মাসের গোড়ায় সেই ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে।
সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী,
- পতাকাটি অবশ্যই অনুভূমিকভাবে স্থাপন করতে হবে।
- ওপরে এবং নীচে গেরুয়া ও সবুজ ব্যান্ড আর মাঝখানে সাদা ব্যান্ডের নীচে ভাঁজ করতে হবে।
- সাদা ব্যান্ডটি এমনভাবে ভাঁজ করতে হবে যাতে গেরুয়া এবং সবুজ ব্যান্ডের অংশ-সহ শুধুমাত্র অশোক চক্র দেখা যায়।
- ভাঁজ করা পতাকাটি অবশ্যই তালুতে বা বাহুতে বহন করতে হবে যাতে এটি সংরক্ষণ করা যায়।
পতাকা সংরক্ষণ
পতাকাবিধি অনুযায়ী, পতাকা এমনভাবে ব্যবহার বা সংরক্ষণ করতে হবে যাতে এটি ক্ষতিগ্রস্থ না-হয়। অথবা মাটিতে স্পর্শ না-করে। পতাকা যাতে জমি বা মেঝেতে না-থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, পতাকা যাতে জলে না-ভেজে, তা-ও দেখতে হবে।
পতাকা যদি নোংরা হয়ে যায়
পতাকা নোংরা হয়ে গেলে তা প্রদর্শন করা যাবে না। পতাকার প্রতি সম্মান বজায় রেখেই তা গোপনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। অথবা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন- দেশীয় পদ্ধতিতে উন্নত আগ্নেয়াস্ত্রে ব্রিটিশ আমলের প্রথা পালন, অভিবাদন প্রধানমন্ত্রীর
অন্য কোনও কারণে পতাকা ব্যবহার করা যাবে না
পতাকাবিধি অনুযায়ী জাতীয় পতাকাকে কোনওভাবেই রুমালের বা ন্যাকড়া হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। টেবিলকভার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। যানবাহন, ট্রেন বা নৌকোর ঢাকনা হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না। কোনও বাড়িতে আচ্ছাদন দেওয়ার কাজেও ব্যবহার করা যাবে না।
Read full story in English