পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআইকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইউএপিএতে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর ট্রাইব্যুনালের কাছে বিষয়টি পেশ করার বিকল্প রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করবে।
ইউএপিএ ট্রাইব্যুনাল কী?
ইউএপিএ-তে হাইকোর্টের বিচারপতির অধীনে ট্রাইব্যুনালের ব্যবস্থা রয়েছে। একটি সংস্থাকে 'বেআইনি' ঘোষণার নির্দেশ UAPA -এর ধারা ৩ এর অধীনে জারি করে কেন্দ্র। এই আইন বলে যে 'ট্রাইব্যুনাল ধারা ৪-এর অধীনে প্রণীত একটি নির্দেশ ট্রাইব্যুনাল নিশ্চিত না-করা পর্যন্ত এবং আদেশটি সরকারি গেজেটে প্রকাশিত না-হওয়া পর্যন্ত এই জাতীয় কোন বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হবে না।' যার অর্থ, ট্রাইব্যুনালে নিশ্চিত না-হওয়া পর্যন্ত একটি সরকারি আদেশ কার্যকর হবে না। আবার, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল সেই নির্দেশ প্রত্যাখ্যানও করতে পারে।
ট্রাইব্যুনালের কর্মপদ্ধতি
UAPA এর ধারা ৪ অনুসারে, কেন্দ্র একটি সংস্থাকে 'বেআইনি' ঘোষণা করার পরে, এই পদক্ষেপের যথেষ্ট কারণ আছে কি না, তা বিচার করার জন্য বিজ্ঞপ্তিটি ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছতে হবে। এর পরে, ট্রাইব্যুনাল অ্যাসোসিয়েশনকে লিখিত নোটিসের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়। যাতে জানতে চায়, কেন এই নির্দেশ বেআইনি ঘোষণা করা হবে না। একবার নোটিস জারির পরে ট্রাইব্যুনাল একটি তদন্ত করে। ছয় মাসের মধ্যে ওই নির্দেশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন- কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়বেন না, বৈঠকে সনিয়াকে জানিয়ে দিলেন গেহলট
ট্রাইব্যুনালের গঠনতন্ত্র
ট্রাইব্যুনাল শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি নিয়ে গঠিত। যাকে উচ্চ আদালতের বিচারপতি হতে হবে। যদি ট্রাইব্যুনালে একটি শূন্যপদ থাকে, কেন্দ্র একজন বিচারপতি নিয়োগ করে। শূন্যপদটি পূরণের পর শুরু হয় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম। কেন্দ্র ট্রাইব্যুনালকে তার কার্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী সরবরাহ করে। ট্রাইব্যুনালের সমস্ত খরচ কেন্দ্রের তহবিল থেকে বহন করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা
ট্রাইব্যুনালের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রয়েছে। এটি বিভিন্ন রাজ্যে শুনানি করতে পারে। তদন্ত করার জন্য, ট্রাইব্যুনালের দেওয়ানি কার্যবিধির ক্ষমতা রয়েছে। একজন সাক্ষীকে তলব করা এবং তাঁকে শপথ গ্রহণ করানোর পর সাক্ষ্য নেওয়া যেতে পারে। কোনও বস্তুকে প্রামাণ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। হলফনামা গ্রহণ করতে পারে। কোনও আদালত বা অফিস নথি সংগ্রহ করতে পারে। সাক্ষীদের পরীক্ষার জন্য কমিশন বসাতে পারে।
Read full story in English