এ ছাড়া, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাঘের হানায় প্রাণ গিয়েছে ২৭৫ জন মানুষের। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের তরফে।

এই সময়কালে হাতি ও বাঘের হানায় পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। হাতির হানায় এ রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে ৪০৩ জনের, বাঘের হানায় মারা গিয়েছেন ৭৪ জন। পশ্চিমবঙ্গের পরেই রয়েছে ওড়িশা। এখানে হাতির হানায় মারা গিয়েছেন ৩৯৭ জন। মহারাষ্ট্রে বাঘের হানায় মারা গিয়েছেন ৭৪ জন।
মানুষের জন্য হাতির মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। প্রায় দুই তৃতীয়াংশ (৫১০-এর মধ্যে ৩৩৩) হাতি এ ভাবে মারা গিয়েছে।

রাজ্যসভায় বনমন্ত্রক বলেছে, বন ও বন্যপ্রাণ পরিচালনার প্রাথমিক দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কর্তৃপক্ষের। বলা হয়েছে, “১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুসারে মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর হানাহানির পরিস্থিতি নিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবার দায়িত্ব রাজ্যের মুখ্য বন্যপ্রাণ আধিকারিকের। পরিবেশ, বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক মানুষ ও বন্যপ্রাণ সংঘর্ষ নিয়ে ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ও ২০১৫ সালের ১ জুন দুটি অ্যাডভাইসরি প্রকাশ করে। সেখানে এ ব্যাপারে যথোচিত ব্যবস্থা নেবার জন্য সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অনুরোধ করা হয়।”

মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে বন্যপ্রাণ উন্নয়ন, ব্যাঘ্র প্রকল্প ও হাতি প্রকল্পের মত কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে নিয়মিত অর্থসাহায্য করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে বন্য প্রাণীর দ্বার নষ্ট হওয়া শস্যের ক্ষতিপূরণ, বা প্রাণ ও সম্পত্তিহানির ক্ষতিপূরণ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন