Great Moon: চাঁদে মিলল অন্য মানুষের সন্ধান! তোলপাড় করা বিরাট সাফল্যের দাবি এবার জ্যোতির্বিজ্ঞানের

Humans Moon: এমন এক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এই দাবি করেছেন, যাঁর আবিষ্কার নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ হওয়ারই কথা নয়।

Humans Moon: এমন এক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এই দাবি করেছেন, যাঁর আবিষ্কার নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ হওয়ারই কথা নয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Great Moon, The New York Sun, চাঁদ, দ্য নিউ ইয়র্ক সান,

Great Moon-The New York Sun: এই দাবিই কি খুলে দেবে জ্যোতির্বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত? (ছবি- উইকিমিডিয়া কমন্স)

Humans lived on the Moon: আমেরিকান সংবাদপত্র, 'দ্য নিউ ইয়র্ক সান' জ্যোতির্বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব আবিষ্কারের বিবরণ দিয়ে ছয়টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, চাঁদে প্রাণের সন্ধান পাওয়ার কথা। এমন এক সময়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যখন জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা ক্রমশ অগ্রগতির পথে হাঁটছে। স্বভাবতই তা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তৈরি করেছে।

এই প্রবন্ধে কী দাবি করা হয়েছে?

Advertisment

দ্য সান -এর এই সংবাদ প্রতিবেদনগুলো এডিনবার্গ জার্নাল অফ সায়েন্স-এর স্যার জন হার্শেলের লেখা। তাঁর নতুন পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণার সৃষ্টি। জন হার্শেল ইউরেনাস গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। তিনি বিখ্যাত দার্শনিক উইলিয়াম হার্শেলের ছেলে। ফলে, তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ নেই। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি দক্ষিণ গোলার্ধে তাঁর মানমন্দিরের মাধ্যমে সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ সম্পর্কে তাঁর অসাধারণ আবিষ্কারকে তুলে ধরেছেন। ধূমকেতু সম্পর্কে নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন। গাণিতিক জ্যোতির্বিদ্যার প্রায় প্রতিটি প্রধান সমস্যা সমাধান বা সংশোধন করেছেন। পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ, মানুষের বসবাসযোগ্য কি না, সেনিয়ে জন হার্শেলের বক্তব্যকে স্বভাবতই তাই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রকাশিত প্রবন্ধে দাবি করা হয়েছে, চাঁদে হার্শেল কয়েকটি স্তন্যপায়ী প্রাণীর সঙ্গে বন এবং গাছপালা দেখেছেন। ক্ষুদ্রাকৃতির বাইসনকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। এক শিংওয়ালা ছাগল পাখি, এমনকী ইউনিকর্নও দেখেছেন। শুধু তাই নয়, বাদুড়ের মত ডানাওয়ালা মানুষের সন্ধানও নাকি তিনি পেয়েছেন। যার নাম দিয়েছেন, 'ভেসপারটিলিও-হোমো বা ম্যান-ব্যাট'।

আরও পড়ুন- কবে এবারের দুর্গাপুজো? কী হবে কোন দিন, দেখে নিন একঝলকে

কবে প্রকাশ পেয়েছে এই প্রতিবেদন, কী জানা গিয়েছে?
এই প্রতিবেদন কিন্তু, নতুন নয়। এটা প্রকাশ পেয়েছিল ১৮৩৫ সালের ২৫ অগাস্ট। পরে ১৮৩৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দ্য সান স্বীকার করে নিয়েছিল, ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত যাবতীয় প্রতিবেদন প্রতারণামূলক অর্থাৎ ভুয়ো। এই লেখাগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছিলন শার্লক হোমসের স্রষ্টা লেখক এডগার অ্যালান পো। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর গল্প, 'দ্য আনপ্যারালাল অ্যাডভেঞ্চার অফ ওয়ান হ্যান্স ফাল' নকল করে ওই সব প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবশ্য পো এইসব গাঁজাখুরি কাহিনিকে বিশ্বাস করায়, সাধারণ নাগরিকদের তীব্র সমালোচনাও করেছিলেন। তিনি প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, 'ভার্জিনিয়া কলেজের গণিতের একজন অধ্যাপক আমাকে গুরুত্ব সহকারে বলেছেন যে গোটা বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে তাঁর কোনও সন্দেহ নেই!'

science moon USA Space