/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/lockdown-in-Beijing.jpg)
চিন তার কোভিড নীতি সহজ করার জন্য পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। এটা একদিকে যেমন স্বস্তি, অন্যদিকে তেমনই উদ্বেগেরও জন্ম দিয়েছে। কারণ, জনসাধারণ স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং চিকিত্সা ব্যবস্থার ওপর বিধিনিষেধের প্রভাব দেখার জন্য এখন অপেক্ষা করছে।
গবেষকরা এখন খতিয়ে দেখছেন, চিন যদি বিধিনিষেধ তুলে নেয়, তবে করোনার জন্য সেদেশে ঠিক কতজনের মৃত্যু হতে পারে। কারণ, চিনে করোনায় টিকাদানের হার ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম। যার জেরে রোগ প্রতিরোধের হার বহু জায়গাতেই বেশ কম।
শুক্রবার পর্যন্ত চিনে করোনায় নতুন করে ৫,২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩১,৯৫২ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম গুয়াংজি অঞ্চলের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান ঝো জিয়াটং গত মাসে সাংহাই জার্নাল অফ প্রিভেনটিভ মেডিসিন দ্বারা প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রকে জানিয়েছেন যে চিনের মূল ভূখণ্ড যদি হংকংয়ের মতো কোভিডবিধি শিথিল করে তবে ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। আর, এই বছর করোনা সংক্রমণ সাড়ে ২৩ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- দিল্লি কা লাড্ডু! অভিষেকগড় ডায়মন্ডহারবারে শুভেন্দুর লাড্ডু উৎসবের ঘোষণায় কীসের সমীকরণ?
মে মাসে, চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চিন যদি তার কোভিডবিধি প্রত্যাহার করে, তবে সাড়ে ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিনেশন বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। নেচার মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, এক্ষেত্রে অন্তত ১৫ গুণ মানুষকে আইসোলেশনে যেতে হতে পারে। তবে, ফুদান ইউনিভার্সিটির প্রধান লেখক-সহ বেশ কয়েকজন গবেষক জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি থেকে চিন বেরিয়ে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে গণহারে টিকা দেওয়া ছাড়া গতি নেই।
গবেষকরা দাবি করেছেন, চিনে যেমন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় টিকাদানের হার কম, তেমনই যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার অনিচ্ছাও প্রবল। আর, এই বুস্টার ডোজ না-নেওয়ায়, যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের করোনা প্রতিরোধ শক্তি এখন ঠিক কতটা কার্যকর রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যার, ফলে এই মুহূর্তে বিক্ষোভকারীদের কথামতো চিন করোনাবিধি প্রত্যাহার করলে প্রায় ২১ লক্ষের মত নাগরিকের মৃত্যু ঘটতে পারে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
Read full story in English