আজ (৩১ জুলাই) আয়কর রিটার্ন (আইটিআর) দাখিলের শেষ তারিখ। এখনও পর্যন্ত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ৬ কোটিরও বেশি রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে। একজন ব্যক্তির বার্ষিক আয়ের ওপর আয়কর ধার্য করা হয়। আয়কর আইন অনুসারে, এই সময়কাল ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়। পরবর্তী ক্যালেন্ডার বছরের ৩১ মার্চ শেষ হয়। যে বছরের আয়ের ওপর রিটার্ন দাখিল হয়, তা হল আগের অর্থবর্ষ। আর, যে বছর আয়ের ওপর কর ধার্য করা হয়, তাকে বলে মূল্যায়ন বছর।
কার আইটিআর ফাইল করা উচিত?
যে কেউ যার এক বছরে সর্বোচ্চ আয় ২,৫০,000 টাকার ছাড়ের সীমা অতিক্রম করেছে (৬০ বছরের কম বয়সি ব্যক্তিদের জন্য), তাঁদের অবশ্যই আয়কর ফাইল দাখিল করতে হবে। আয়কর দফতরের ওয়েবসাইট অনুসারে, নিম্নলিখিত শ্রেণির লোকদের অবশ্যই আয়কর ফাইল দাখিল করতে হবে:- ১) এমন ব্যক্তি, যিনি ভারতে থাকেন এবং (ক) ভারতের বাইরের কোনও সম্পদ (যে কোনও সত্তার আর্থিক স্বার্থ-সহ)-এর মালিক অথবা (খ) ভারতের বাইরে কোনও আর্থিক অ্যাকাউন্ট আছে। ( গ) ভারতের বাইরের যে কোনও সম্পদের (কোনও সত্তার আর্থিক স্বার্থ-সহ) মালিক বা সুবিধাভোগী অথবা ২) একজন ব্যক্তি যিনি তাঁর কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার বেশি জমা করেছেন। ৩) যে ব্যক্তি বিদেশে ভ্রমণের জন্য ২ লক্ষেরও বেশি টাকা খরচ করেছেন। ৪) যে ব্যক্তির বিদ্যুতের খরচ ১ লক্ষ টাকারও বেশি। ৫) যার মোট বিক্রয় টার্নওভার বা ব্যবসায় মোট প্রাপ্তি ৬০ লক্ষ টাকার বেশি। ৬) পেশায় যার মোট প্রাপ্তি ১০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ৭) মোট কর কাটা হয়েছে বা উৎস হিসেবে সংগ্রহ হয়েছে ২৫,০০০ টাকা বা তার বেশি (আবাসিক সিনিয়র সিটিজেনের ক্ষেত্রে ৫০,০০০ টাকা)। ৮) এক বা একাধিক সেভিংস ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যার মোট আমানত হল ৫০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি। কিন্তু, এমনকী যদি কেউ এই বিভাগের অধীনে না-পড়ে এবং ছাড়ের সীমার নীচে আয় করে, তাঁদেরও রেকর্ড রাখার উদ্দেশ্যে আয়কর দফতর ফাইল দাখিল করার সুপারিশ করে। তবে, এটা বাধ্যতামূলক নয়।
আরও পড়ুুন- আরপিএফ কী? কীভাবে তৈরি হয়েছিল এই বাহিনী?
কীভাবে আয়কর ফাইল করবেন?
এটি ফাইল করার দ্রুততম উপায় হল সরকারের ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট হল: http://www.incometax.gov.in/iec/foportal/। যেখানে একজনকে প্রথমে নথিবদ্ধ হতে হবে। পাশাপাশি আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ফর্ম ১৬ (যাতে নিয়োগকর্তার কর্মচারীর বেতন থেকে কর কেটে সরকারের কাছে জমা দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে) নথি-সহ বিশদ বিবরণ পূরণ করতে হবে। কেউ তাদের নিয়োগকর্তার কাছে এই ফর্মের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে ফর্ম ২৬এএস এবং বার্ষিক আয় বিবরণী প্রয়োজন হতে পারে। এই দুটি একই সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাক্সেস করতে হবে।