টিকা নেওয়া থাকলে দেশের কয়েকটি রাজ্যে প্রবেশে বিধি শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে কয়েকটি শর্ত। সেই শর্ত মানলে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা ছাড়াই রাজ্যগুলোতে প্রবেশ অবাধ। তবে সংক্রমণ আবহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই বিধি ফের বদলাতে পারে। এমনটাই সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা এবং চণ্ডীগড়; রাজ্য প্রবেশে কিছু বদল এনেছে। আগে এই রাজ্যে ঢুকতে গেলে সংশ্লিষ্ট এয়ারপোর্টের প্রবেশপথে নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট দেখাতে হতো।
কিন্তু সংশোধিত নিয়মে বলা প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ, কোনও একটা নেওয়া থাকলে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়াই এই রাজ্যে ঢোকা যাবে। রাজস্থানের ক্ষেত্রে নিয়ম—সম্পূর্ণ টিকাকরণ থাকলেই সে রাজ্যে প্রবেশে অনুমতি মিলবে। তবে দ্বিতীয় ডোজের প্রায় একমাসের মাথায় এই ছাড়পত্র দেবে রাজস্থান সরকার।
পড়শি পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে আবার ভ্যাকসিনের একটা ডোজ নেওয়া থাকলে প্রবেশ অবাধ। কিন্তু সেই ডোজ নেওয়ার পর ১৪ দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবেই সেই রাজ্যের সরকার আপনাকে ঢুকতে দেবে। একই নিয়ম চণ্ডীগড়ের জন্য প্রযোজ্য।
ওড়িশা, নাগাল্যান্ডে প্রবেশের জন্য দুটি টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। তাহলেই আরটি-পিসিআর পরীক্ষা ছাড়াই এই দুই রাজ্যে আপনার পা পড়বে। মেঘালয়ের ক্ষেত্রে আবার রাজ্যভিত্তিক বিধিনিষেধ। মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, বিহার, বাংলা, কর্নাটক, কেরালা থেকে সেই রাজ্যে ঢুকতে গেলে একমাত্র টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে।
যদিও এই বিধি প্রশ্নে কেন্দ্রীয় কোনও নির্দেশ নেই। তাও অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক মিলিত ভাবে একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা জারি করতে উদ্যোগ নিয়েছে।এদিকে,
করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আসন্ন। বিশেষজ্ঞদের সতর্কবাণী, এই তরঙ্গে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। তাই সংক্রমণের চেন ভাঙতে শিশুদের টিকাকরণে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে, ১৩০ কোটি দেশবাসীর মধ্যে ১২-১৮ বছর বয়সী ৮০ শতাংশকেই টিকাকরণের আওতায় আনতে সচেষ্ট কেন্দ্র। এর জন্য অবশ্য দু’দিনে প্রয়োজন হবে ২১০ মিলিয়ান ডোজের।
ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের শরীরে ফাইজারের mRNA ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু, ভারতে শিশুদের টিকাকরণে দেশিয় টিকা কোভ্যাক্সিনেরই প্রয়োগের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক সিনিয়ান সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, শিশুদের উপর কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। চাহিদার তুলোনায় ফাইজার ভ্যাকসিনের যোগানের অতিরিক্ত তারতম্যের আশঙ্কা রয়েছে, এছাড়া যোগান চাহিদা মতো হলেও তা কবে ভারতে পৌঁছবে তা এখনও অস্পষ্ট। তাই দেশিয় টিকাই শিশুদের প্রয়োগের পক্ষপাতী কেন্দ্রীয় সরকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন