Ex-Pakistan PM Imran Khan: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন। তিনি বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির এক কারাগারে বন্দি। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফ-এর ২৪ জুলাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান '১০ বছরের কারাদণ্ড সত্ত্বেও অনলাইনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যোগ দেবেন।'
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কে?
এটা বিশ্বাস করা হয় যে ১০৯৬ সাল থেকে ব্রিটেনের অক্সফোর্ডে শিক্ষাদান চলছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ১০০ বছর পরে এখানে চ্যান্সেলর পদটি চালু হয়। ওয়েবসাইট অনুসারে, '১২০১ সাল নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ছিলেন একজন ধর্মীয় বিদ্যালয়ের প্রধান। যাঁকে পরবর্তীতে ১২১৪ সালে চ্যান্সেলর উপাধি দেওয়া হয়।' এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চ্যান্সেলার মূলত কোনও নির্বাহী দায়িত্ব ছাড়াই আনুষ্ঠানিক প্রধান হিসেবে কাজ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা করেন। দরকারি পরামর্শ এবং নির্দেশিকা প্রদান করেন। কিছু অফিসিয়াল ইভেন্টে সভাপতিত্ব করেন। গভর্নিং বডির মধ্যে বিরোধ সমাধানে সহায়তা করেন। চ্যান্সেলরকে অবশ্যই যাতে সারা বছর সহজেই পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে হয়। তবে, সেজন্য অবশ্য তাঁর অক্সফোর্ডে থাকার প্রয়োজন পড়ে না। তাঁর খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করেন।
আরও পড়ুন- টার্গেটেড ক্যান্সার ড্রাগসের দাম কমিয়েছে সরকার, আদৌ সুবিধা পাবেন রোগীরা?
কেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে নির্বাচন হচ্ছে?
পূর্ববর্তী চ্যান্সেলর ক্রিস্টোফার প্যাটেনের বয়স ৮০ বছর। সম্প্রতি তিনি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি প্রায় ২০ বছর চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ ছিলেন। ১৯৯২ সালে, তিনি হংকং-এর গভর্নর নিযুক্ত হন। সেই পদে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন। হংকং ব্রিটিশদের থেকে চিনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর তিনি ব্রিটেনে ফিরে যান। ২০০৬ সালে, তিনি ব্রিটেন-ভারত গোলটেবিল বৈঠকের সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন। এই বৈঠক, দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তৈরি হয়েছে।পূর্ববর্তী উল্লেখযোগ্য চ্যান্সেলরদের মধ্যে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড ম্যাকমিলান এবং জর্জ নাথানিয়েল কার্জন বা লর্ড কার্জন ছিলেন অন্যতম। এই কার্জন আবার বঙ্গভঙ্গের তত্ত্বাবধান করেছিলেন। নতুন চ্যান্সেলরের মেয়াদ হবে ১০ বছর।
কীভাবে নির্বাচিত হবেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন চ্যান্সেলর?
য়
প্রথমবারের মতো অনলাইনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রার্থীদের নিম্নলিখিত মানদণ্ড পূরণ করতে হবে:
১. নিজেদের ক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্ব দেখাতে হবে। সম্মানীয় ব্যক্তি হতে হবে।
২. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এবং একাডেমিক মিশন, এর আন্তর্জাতিক ভূমিকা, বিশ্বমানের গবেষণা ও শিক্ষাদান ইত্যাদি সম্পর্কে তাঁর গভীর উপলব্ধি থাকতে হবে।
৩. স্থানীয়ভাবে, জাতীয়ভাবে এবং বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বাড়ানোর ক্ষমতা এবং ইচ্ছা থাকতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন, যাঁরা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ডিগ্রি (সম্মানসূচক ডিগ্রি ব্যতীত) পেয়েছেন, সেই পড়ুয়াদের সমাবর্তনের মাধ্যমে এখানে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন।
৫. এছাড়াও রয়েছে মণ্ডলী। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বভৌম সংস্থা। অথবা এর 'সংসদ' হিসেবে কাজ করে। একাডেমিক স্টাফ-সহ মণ্ডলীর ৫,০০০-এরও বেশি সদস্য আছেন। কলেজের গভর্নিং বডির প্রধান এবং অন্যান্য সদস্য, সিনিয়র গবেষক, কম্পিউটার বিভাগ, লাইব্রেরি এবং প্রশাসনিক বিভাগের কর্মীরা এর সদস্য। ভোটদানের ক্ষেত্রে বিকল্প ভোট পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। ভোটাররা পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবেন।