ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলতে পারবে কি কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন এই ক্লাব ইস্টবেঙ্গল? শতবর্ষেও এই প্রশ্নই ভাবিয়ে তুলছে লাল হলুদ সমর্থকদের। ২০২০-২১ বর্ষে কোনও স্পনসর এখনও পায়নি ইস্টবেঙ্গল। এদিকে ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী সিজনে ১০টি দলকে চূড়ান্ত করেছে তাঁরা। অর্থাৎ স্পনসরহীন ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা যে কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে, শতবর্ষেও বদলাল না সেই চিত্র।
কোয়েস কর্প কেন আর ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর হতে নারাজ?
২০১৮ সালে কোয়েস কর্পের হাতে নিজেদের ক্লাবের ৭০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রেটারি ডা শান্তি রঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন যে তিন বছরের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল আইএসএল না খেললে সংস্থা স্পনসর বন্ধ করে দেবে। ২০১৯ সালে হঠাৎই ইস্টবেঙ্গলের কাছে কোয়েসের তরফে একটি চিঠি পাঠান হয়ে যেখানে বলা হয় ২০২০ সালের ৩১ মে থেকে তাঁরা এই চুক্তি আর চালিয়ে নিয়ে যাবে না। তবে কোয়েসের তরফে চেয়ারম্যান অজিত ইসশাক এই প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
কিন্তু আইএসএল এ যোগদনের খুব কাছাকাছি ছিল লাল হলুদ ক্লাব? তবে কেন সরে আসতে হল?
জানা গিয়েছে ২০১৯ সালে আইএসএল-এ যোগদানের সব ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়ে গিয়েছিল ইস্টেবঙ্গল আর কোয়েসের তরফে। বাকি ছিল কেবল সই। কিন্তু ক্লাব কর্তারা জানান প্রতি সোমবার কোয়েসের কর্ণধারের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হলেও ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার আগে অজিত ইসশাক বৈঠক করেন মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে। এরপর বেঙ্গালুরুতে গিয়ে লাল হলুদ ক্লাব কর্তারা মিটিং করলেও তা ফলপ্রসু হয়নি।
এদিকে, আইএসএল-এ আটলেতিকোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নাম লিখিয়েছে মোহনবাগান।
লকডাউনের সময় ক্লাবের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল লাল হলুদের একমাত্র কোয়েসের?
লকডাউনে ফাঁস আরও শক্ত হয়েছিল। শুধু ক্লাব নয় বিদেশি প্লেয়ারদের সঙ্গেও চুক্তি থামিয়ে দেয় কোয়েস। যা নিয়ে তোলপাড় হয় ময়দান। ইস্টবেঙ্গলের জেনারেল সেক্রেটারি কল্যাণ মজুমদার জানান যে প্লেয়ার নির্বাচন এবং কোচ নিয়েও ঝামেলা চলছিল কোয়েসের সঙ্গে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায় যে প্লেয়ার কিনতে এক নয়া পয়সাও খরচ করতে রাজি ছিল না বেঙ্গালুরুর ওই সংস্থা।
এখন কী অবস্থায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব?
অবশ্যই স্পনসর খুঁজে চলেছে ক্লাব। পাশাপাশি বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ক্লাব কর্তারা। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি। জানা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে প্রথম কথা বলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার এটিকে। তাঁরা ৮০-২০ শতাংশের শেয়রা দাবি করে কিন্তু ইস্টবেঙ্গল তাঁদের ৭০-৩০ শেয়ারের বাইরে কথা এগোতে চায়নি। এরপরই মোহনবাগানের দিকে ঝোঁকে এটিকে। এখন যা অবস্থা সেখানে আইলিগ খেলতে গেলেও স্পনসর নিয়েই খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন