Imane Khelif vs Angela Carini: মোট ১৬ রাউন্ডের খেলা ছিল। কিন্তু, আলজেরিয়ার ইমানে খেলিফের হাতে মুখে কয়েকটা ঘুষি খাওয়ার পরই ইতালির অ্যাঞ্জেলা ক্যারিনি এই ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। ১ আগস্টের এই ঘটনা এখনও পর্যন্ত অলিম্পিকে সবচেয়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। খেলিফকে এই ম্যাচে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সমালোচকরা তাঁর বিরুদ্ধে নানা শব্দ ব্যবহার করেছেন। অনেকে তাঁকে 'জৈবিক পুরুষ' বলে গালমন্দ করেছেন। অভিযোগ করেছেন তাঁকে 'অন্যায় সুবিধা' দেওয়া হয়েছে। কিছু সমালোচক তো খেলিফকে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বলে দাবি করেছেন। মহিলাদের খেলাধূলায় তৃতীয় লিঙ্গের বা ট্রান্স মহিলাদের অংশগ্রহণের ঘটনা নতুন নয়। খেলিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর জৈবিক বৈশিষ্ট্য পুরুষদের মত। তাঁর টেসটোসটেরনের স্তর পুরুষদের মত বেশি।
লিঙ্গ পরীক্ষায় ব্যর্থ
২০২৩ সালে, খেলিফ এবং চাইনিজ তাইপেই বক্সার লিন ইউ-টিং 'লিঙ্গ' পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। তার পরে নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ'স) বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরীক্ষার বিবরণ গোপন রাখা হয়েছিল। আইবিএ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে এই দুই বক্সার, 'মহিলা বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করেননি।'
প্যারিসে আলাদা নিয়ম
যাইহোক, দুজনেই এখন প্যারিস অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর কারণ হল, গত জুনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (IOC) প্রশাসনিক এবং আর্থিক কারণে আইবিএ (IBA)-এর স্বীকৃতি বাতিল করেছিল। প্যারিসে, আইওসি-নিযুক্ত শাখা বক্সিং প্রতিযোগিতা পরিচালনা করছে। তারা আলাদা নিয়ম করেছে। সেখানে মহিলা বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যোগ্যতার একমাত্র নির্ধারক হল, একজন অ্যাথলিটের পাসপোর্টে উল্লেখ করা লিঙ্গ। খেলিফের পাসপোর্টে বলা আছে যে তিনি মহিলা। বৃহস্পতিবার খেলিফের জয়ের পরে, এবং পরবর্তীতে নানা অভিযোগ ওঠার পরে, আইওসি এক বিবৃতিতে বলেছে যে অলিম্পিকে সমস্ত বক্সারই, 'প্রতিযোগিতার যোগ্যতা এবং প্রবেশের নিয়মাবলি' মেনে চলেছেন।
আরও পড়ুন- অলিম্পিকের আজব খেলা! শুনলে যে কেউ হাসবে, যা বাতিল করতে হয়েছে
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
খেলিফ এবং লিন, দু'জনেই বহু বছর ধরে মহিলাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। তাঁরা ২০২০ টোকিও অলিম্পিক গেমসেও অংশ নিয়েছিলেন। আইওসি আরও বলেছে, যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করেই দুই নারীকে নিষিদ্ধ করার মত 'স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত' নিয়েছে আইবিএ। একইসঙ্গে আইবিএ বলেছে যে, 'বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে দু'জন মহিলা ক্রীড়াবিদ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট করা হয়েছে। দুই ক্রীড়াবিদকে বর্তমানে যেভাবে অপমান করা হচ্ছে, তার জন্য আমি দুঃখিত।'