ডিজিটাল ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা বিল, ২০২৩ সোমবার লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাস হয়েছে। বিলটি গত নভেম্বরে প্রস্তাবিত আইনের মূল সংস্করণের বিষয়বস্তু বজায় রেখেছে। এমনকী, বিশেষজ্ঞরা যেসব ক্ষেত্রে গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ করেছিল, সেগুলোও বিল থেকে সরানো হয়নি। উলটে, প্রস্তাবিত আইনে কেন্দ্রকে ভার্চুয়াল সেন্সরশিপের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। এটি তথ্যসুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য ভারতের দ্বিতীয় চেষ্টা। মোদী সরকার এর আগে তথ্যসুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য তিনবার চেষ্টা করেও তা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছিল। এবারের বিলটিকে এরপর রাজ্যসভায় পাস করানো হবে। তারপরই সেটি আইনে পরিণত হবে।
এই বিল অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার অন্যান্য বিষয়ের মত জাতীয় নিরাপত্তা, বিদেশি সরকারগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতিতে 'রাজ্যকে যে কোনও' তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে পারবে। বিভিন্নস্তরে বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগের জবাবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে কেন্দ্রের হাতে বিভিন্ন বিষয় ছেড়ে দেওয়া দরকার। তিনি বলেন, 'যদি ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, সরকারের কি তাদের ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য সম্মতি নেওয়ার সময় থাকবে বা তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে? যদি পুলিশ অপরাধীকে ধরার জন্য তদন্ত চালায়, তাহলে কি তাদের সম্মতি নেওয়া উচিত?'
আরও পড়ুন- ভয়ংকর ঘটনা! জঙ্গিদের পালাতে সাহায্য করেছে অসম রাইফেলস, দায়ের এফআইআর
বৈষ্ণো জানান যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর)-এর ক্ষেত্রে ১৬টি ছাড় রয়েছে। ভারতে সেই তুলনায় অনেক কম মাত্র চারটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিলে আরও বলা হয়েছে যে যদি কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে দুটির বেশি ক্ষেত্রে শাস্তি দেওয়া হয়, তবে কেন্দ্রীয় সরকার সেই সংস্থার বক্তব্য শোনার পরেও তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্লক করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা এই তথ্য অধিকার আইনের নতুন সংযোজন, যা ২০২২ সালের খসড়ায় ছিল না। বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে, তথ্যের অধিকার সুরক্ষিত করতে না-পারলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।