ডিসেম্বর পড়তেই জোড়া সুখবর পেয়েছে ভারত। দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা জি২০ এবং ইউএনএসসির সভাপতি হয়েছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, জি২০-র সভাপতি হিসেবে 'বসুধৈব কুটুম্বকম' (বিশ্ব একটি পরিবার) নীতি গ্রহণ করতে চায়। আর, ইউএনএসসির সভাপতি হিসেবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে চায়। আর বহুপাক্ষিক সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে চায়। ভারত যে দুটি পদ পেয়েছে, সেটা বড় কৃতিত্ব বটেই। তবে, সদস্য হলেই কোনও না-কোনও সময় এই পদ পাওয়া হয়ে যায়। ঘুরতে ঘুরতে গোষ্ঠীর প্রতিটি সদস্যের কাছেই কোনও না-কোনও সময় এই পদ এসে পৌঁছয়। ভারতও এই ভাবেই দুটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সভাপতি পদ পেয়েছে।
ইউএনএসসির প্রেসিডেন্টের ভূমিকা ও ক্ষমতা কী?
ইউএনএসসির এর কিছু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। তার মধ্যে অন্যতম হল 'রাষ্ট্রসংঘের নীতি ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় রাখা' এবং 'শান্তি বা আগ্রাসনের পক্ষে যা হুমকি, তাকে চিহ্নিত করা। এক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা উচিত, তার সুপারিশ করা। আর সুপারিশ খতিয়ে দেখা।'
সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন
ইউএনএসসির আইন অনুযায়ী, এই পরিষদের সভাপতি, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের পাশাপাশি নিরাপত্তা পরিষদের সভা আয়োজন, অস্থায়ী এজেন্ডা অনুমোদন, সভার রেকর্ডে স্বাক্ষর করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা ভোগ করে। নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে ভারত প্রথম দিন একটি ব্রেকফাস্ট কর্মূসূচি নিয়েছিল। যেখানে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিল। সহজ ভাষায় আগামিদিনের কর্মসূচি ব্রেকফাস্টের পরই সভায় গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন- আদানির বন্দরের বিরুদ্ধে জেলেদের বিক্ষোভে উত্তাল কেরল! সামলাতে সাম্প্রদায়িক রং দিচ্ছে সিপিএম
ইউএনএসসির প্রেসিডেন্ট কীভাবে নির্বাচিত হয়?
ইউএনএসসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এর ১৫টি সদস্য দেশের প্রত্যেকটিই ইংরেজি বর্ণানুক্রমিক ক্রম অনুসরণ করে একমাসের জন্য সভাপতির পদ পায়। যেমন, ভারতই ২০২১ সালের আগস্টেও সভাপতি পদে ছিল। নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসাবে ভারত কয়েকটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে চায়। যেমন সিরিয়া, লিবিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, কলম্বিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং কঙ্গোর উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে চায়। ওই সব দেশের ব্যাপারে প্রতিবেদন তৈরি করতে চায়।
Read full story in English