Advertisment

রাজ্যে রাজ্যে বাড়ছে সুস্থতার হার, দেশকে আশা দেখাচ্ছে দিল্লি

কিন্তু আশার কথা এটাই যে পরিস্থিতি কিন্তুই ক্রমশ থিতু হচ্ছে। সংক্রমণ একেবারে স্বাভাবিক না হলেও সুস্থতার হার আশা দেখাচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নোভেল করোনা ভাইরাস এখনই যাওয়ার নয়। এ সত্য কম বেশি সকলেরই জানা। ভ্যাকসিন যতক্ষণ না আসছে ততক্ষণ এই ভাইরাস থেকেই যাবে। কিন্তু আশার কথা এটাই যে পরিস্থিতি কিন্তুই ক্রমশ থিতু হচ্ছে। সংক্রমণ একেবারে স্বাভাবিক না হলেও সুস্থতার হার আশা দেখাচ্ছে। দেশের মধ্যে এই মুহুর্তে নজির গড়ল দিল্লি। এই সময় সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল রাজধানী। সেখান থেকে এখন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২০০ তে।

Advertisment

গত এক মাসে একমাত্র দিল্লিতে লাফিয়ে লাফিয়ে কমেছে মৃত্যু সংখ্যা। এক সময় প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৮০ জনের মৃত্যুর হত করোনার ভাইরাসের থাবায়। অগাস্ট মাসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ থেকে ১৫। এদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে এখনও মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। মৃত্যু বাড়ছে কর্ণাটকেও। প্রতিদিন সেখানে মৃতের তালিকায় জুড়ছে প্রায় ১০০ জনের নাম।

publive-image

তবে দেশে কিন্তু কমেছে মোট মৃত্যুর হার। যদিও বেশ কয়েকটি রাজ্যে এখনও সে হার অনেকটাই বেশি। প্রথম থেকে দিল্লিতে মৃত্যু হার বেশি থাকার দরুণ শনিবার পর্যন্ত সেখানে হার ২.৭৬ শতাংশ। দেশে সেই হার ১.৯৩ শতাংশ। এদিকে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে তা ৩.৫ শতাংশ। যদিও সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান যে প্রতিটি রাজ্যকেই ক্রমশ কমিয়ে আনতে হবে এই মৃত্যু হার।

মৃত্যু সংখ্যার নিরিখে কিন্তু সবচেয়ে কম বিহারেই। এখনও পর্যন্ত সেখানে মারা গিয়েছেন ৫১৫ জন। মৃত্যুর হার ০.৫১ শতাংশ। এদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত বাংলাতেও সুস্থতার হার বেড়ে হল ৭৩.৯১ শতাংশ। বাংলায় এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৩৬ জন। তবে শনিবার মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের।

publive-image

শনিবার দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৬৪ হাজার ৫০০ জন। মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লক্ষ ৮৯ হাজার। কিন্তু এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৮ লক্ষ ৬২ হাজার। অর্থাৎ সুস্থতার হার ৭২ শতাংশ। এই হারই যদি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায় তবে করোনা আবহে নজির গড়বে দেশ এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus COVID-19
Advertisment