গত দু'সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন আক্রান্তের নিরিখে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজারে পৌঁছেছে কোভিড পজিটিভের সংখ্যা। কিন্তু এতদিন যে হারে করোনা বাড়ছিল, সেই করোনা অ্যাক্টিভ কেসের হার এখন অনেকটাই নিম্মমুখী।
আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমন সুস্থতার হারও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কোভিড থাবায় দেশে আক্রান্ত হয়েছে ২০ লক্ষ ৮০ হাজার। কিন্তু এর মধ্যে ৬ লক্ষ ১৯ হাজার এই মুহুর্তে অ্যাক্টিভ কেস। বাকিরা কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর মৃত্যুর হার এখন ২ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে ভারতের হার না মানা লড়াই এবার ধীরে ধীরে সাফল্যর মুখ দেখছে।
অ্যাক্টিভ কেস লেখচিত্র
আগের পরিসংখ্যানের সঙ্গে পর্যালোচনা করে দেখলে দেখা যাচ্ছে এই মুহুর্তে আক্রান্তের হার স্থিতিশীল। আগে যে হারে আক্রান্ত বাড়ছিল গত দশ দিনে তা অনেকটাই কম। অ্যাক্টিভ কেসের হারও কমছে দ্রুতগতিতে। এখন দেশে ১০০ জনের মধ্যে ৩-৪ জনের প্রতিদিন করোনা ধরা পড়ছে।জুলাই মাসের ২০ তারিখের পর থেকে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যার লেখচিত্রে উর্ধ্বমুখী প্রভাব দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু দেশে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই চিত্রে অনেকটাই বদল এসেছে।
কমছে আক্রান্তের হার
এর অবশ্য একটা কারণও আছে। করনা আক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর সুস্থ হতে হতে ১৪ দিন থেকে ১৬ দিন সময় লেগে যাচ্ছিল। কিন্তু ক্রমশ আমাদের দেহের অ্যান্টিবডিগুলি করোনা প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় এখন ১৪ দিনেরও কম সময়ে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছে। ফলে অ্যাক্টিভ কেসের সময়সীমা কমছে। এখনও পর্যন্ত কনফার্মড কেসের মোট ৬৮.৩২ শতাংশ কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছে।
তবে বিজ্ঞানীরা কিন্তু অ্যাক্টিভ কেসের হার কমায় বিন্দুমাত্র অবাক হচ্ছেন না। তাঁদের মত যত এগোবে অতিমারীর সময় ততই ধীরে ধীরে কমতে থাকবে এই হার। অতিমারীর শেষ দিনে এই হার নেমে আসবে শূন্যতে। আর যত অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা কমবে দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও কমতে থাকবে চাপ। অ্যাক্টিভ কেস রোগী তাঁদেরকেই বলা হচ্ছে যাদের দেহে করোনা ভাইরাস থেকে যাচ্ছে এবং সংক্রমণের আশা থাকছে। অ্যাক্টিভ কেস কমার গুরুত্ব এখানেই যে করোনা ছড়াবেও কম।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন