দুটি কৃষি পণ্য রয়েছে যেখানে ভারত উল্লেখযোগ্যভাবে আমদানি নির্ভর। সেগুলো হল ভোজ্য তেল এবং ডাল। এর মধ্যে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ (এপ্রিল-মার্চ) অর্থবর্ষে, ভারতে ভোজ্য তেল আমদানির মূল্য ৭,২৪৯.৮৫ মিলিয়ন ডলার বা (৪৪,০৩৮.০৪ কোটি টাকা) থেকে বেড়ে হয়েছে ২০,৮৩৭.৭০ মিলিয়ন ডলার বা (১৬৭,২৬৯.৯৯ কোটি টাকা)। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গত দুই অর্থবর্ষে। এমনিতে ভারত বছরে ২৪-২৫ মিলিয়ন টন রান্নার তেল ব্যবহার করে। তার মধ্যে মাত্র ৯-১০ মেট্রিক টন তেল অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত শস্য থেকে তৈরি হয়। বাকি ১৪-১৫ মিলিয়ন টন ভোজ্যতেল ভারত আমদানি করে থাকে।
তুলনামূলক ভাবে ডালে আত্মনির্ভর
ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে এই আমদানি নির্ভরতা থাকলেও ডালের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা উলটো হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার নয় বছরে আমদানির মূল্য সামান্য বাড়িয়েছে। ১,৮২৮.১৬ মিলিয়ন ডলার (১১,০৩৬.৭৫ কোটি টাকা) থেকে বাড়িয়ে করেছে ১,৯৪৩.৮৯ মিলিয়ন ডলার বা (১৫,৭৮০.৫৬ কোটি টাকা)। আমদানি প্রাথমিকভাবে বেড়ে ২০১৬-১৭ সালে ৪,২৪৪.১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা (২৮,৫২৩.১৮ কোটি টাকা)-য় পৌঁছেছিল। যা ছিল সর্বোচ্চ। সেখান থেকে ধীরে ধীরে দেশের ডালের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তার অর্থ, দেশবাসী ডাল খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, এমনটা নয়। বরং, দেশ তার ডাল উৎপাদন বাড়িয়েছে। আর, তাতেই দেশের ডালের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। যা প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় 'আত্মনির্ভরতা'।
আরও পড়ুন- রেপো রেটে স্বস্তি রিজার্ভ ব্যাংকের, প্রভাব পড়বে EMI-এ?
সমস্যা বাড়িয়েছে অড়হর
অন্যান্য ডাল উৎপাদনে সাফল্য অব্যাহত থাকলেও অড়হর ডাল কিন্তু, সমস্যা বাড়িয়েছে। এর উৎপাদনের কোনও ধারাবাহিকতা নেই। এই ডাল ২০১৩-১৪ সালে ৩.১৭ মিলিয়ন টন থেকে ২০১৬-১৭ সালে বেড়ে হয়েছিল ৪.৮৭ মিলিয়ন টন। ২০২১-২২ সালে আবার ৪.২২ মিলিয়ন টন এবং ২০২২-২৩ সালে ৩.৪৩ মিলিয়ন টনে নেমে এসেছে। অড়হড় প্রধানত খরিফ শস্য। অর্থাৎ বর্ষা-পরবর্তী বপন হয়। গত চার বছরে এর উৎপাদন গড়ে ২.৪২ মিলিয়ন টন হয়েছে। যা ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালের ৩.৪৯ মিলিয়ন টন এবং ৩.০৬ মিলিয়ন টন থেকেও কম।