পাকিস্তানকে 'এফ-১৬' আর্থিক সহায়তা দেওয়া নিয়ে মার্কিন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করল ভারত। ওয়াশিংটনে অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর পাকিস্তানকে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলারের প্যাকেজ দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য হোয়াইট হাউসের কড়া সমালোচনা করেন। মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদর কার্যালয় পেন্টাগন অবশ্য এই আর্থিক সহায়তাকে 'এফ-১৬' বিষয়ক বলেছে। সঙ্গে জানিয়েছে, ওই যুদ্ধবিমানের জন্য টেকসই এবং সম্পর্কিত সরঞ্জাম কেনার জন্য পাকিস্তানকে এই আর্থিক সহায়তা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জয়শংকর ও রাজনাথের অভিযোগ
পালটা জয়শংকর মার্কিন-পাকিস্তান অংশীদারিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানান, পাকিস্তানকে দেওয়া মার্কিন সাহায্যে কারও উপকার হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, এই যুদ্ধবিমানগুলো তারা পাকিস্তানকে জঙ্গিদমনের জন্য দিয়েছে। সেই মার্কিন দাবির বিপক্ষে জয়শংকরের পালটা প্রশ্ন, 'এই কথা বলে আপনারা কাকে বোকা বানাচ্ছেন?' এই প্রথমবার ভারত বাইডেন প্রশাসনের পদক্ষেপে প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করল। গত সপ্তাহে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইট করে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের কাছে উদ্বেগে প্রকাশ করেছিলেন।
বিদেশ মন্ত্রকের ভূমিকা
বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য তারপরও শান্তই ছিল। যদিও মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক, জলভাগের নিরাপত্তা বৈঠক এবং চতুর্দশ প্রবীণ আধিকারিকদের বৈঠকের জন্য নয়াদিল্লিতে থাকা মার্কিন কর্তাদের কাছে ৭ সেপ্টেম্বরের ঘোষণা নিয়ে ভারতের তীব্র আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধ করার পর এটিই পাকিস্তানকে দেওয়া প্রথম মার্কিন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 'বোকার মত' দিচ্ছে বলেই অভিযোগ ভারতের।
আরও পড়ুন- নেতৃত্বের সঙ্গে ভাগবতের বৈঠক স্রেফ আরএসএসের ভাঁওতাবাজি, অভিযোগ মুসলিম নেতাদের একাংশের
কী প্রতিক্রিয়া আমেরিকার?
এই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, 'আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আর ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হিসেবে দেখি না। এরা উভয়েই আমাদের অংশীদার। যাদের সঙ্গে আমাদের আলাদা ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব রয়েছে। এই দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক নিজস্ব ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।'
ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান
পাকিস্তান আমেরিকার নন-ন্যাটো মিত্র। আর, ভারতের অবস্থান নিরপেক্ষ। ভারত কোনও সপ্তাহে আমেরিকা-সহ চারদেশীয় কোয়াড গোষ্ঠীর বৈঠকে অংশ নিল। আবার দেখা যাবে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের মত (SCO) সংগঠনের পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গেও তেল কেনা নিয়ে বৈঠক করছে।
Read full story in English