Advertisment

Explained: 'সাইলেন্ট কিলার'! আক্রান্ত ভারতের অসংখ্য নাগরিক, কী বলছেন গবেষকরা?

সরকার চাইলে এই গবেষণার তথ্য স্বাস্থ্যনীতি তৈরিতে কাজে লাগাতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Diabetes

মাদ্রাজ ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ দ্বারা সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতে প্রায় ১০১ মিলিয়ন (১০ কোটি ১০ লক্ষ) মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। সেই ডায়াবেটিস, যার আরেক নাম 'সাইলেন্ট কিলার'। আরও ১৩৬ মিলিয়ন লোক প্রাক-ডায়াবেটিস পর্যায়ে আছেন। এই গবেষণা অনুযায়ী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা এবং হাই কোলেস্টেরলের মত পাকযন্ত্রের সমস্যার জেরে তৈরি হওয়া অসুখগুলো ক্রমশ বাড়ছে। এই সব রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যনীতি তৈরি করতে সরকার মরিয়া।

Advertisment

গবেষণা যা বলছে
দেশের ৩১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১১৩,০০০ জনের নমুনা গবেষকরা সংগ্রহ করেছেন। তার ভিত্তিতেই ভারতের বিভিন্ন অংশে ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব তাঁরা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছেন। সঙ্গে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ডায়াবেটিস রোগীদের মাত্র ৭%-এর সুপার, রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যাঁদের নমুনা গবেষকরা সংগ্রহ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৭৯,৫০৬ জন গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। গবেষণায় ধরা পড়েছে, গ্রামীণ অঞ্চলে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ৮.৯%। আর, শহর অঞ্চলে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ১৬.৪%। দক্ষিণের রাজ্য এবং দিল্লি ও পঞ্জাবের মত উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বেশি। উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যার ৪.৮% ডায়াবেটিস আক্রান্ত।

এই গবেষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ
এই গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক ডা. ভি মোহন। তিনি জানিয়েছেন, এই গবেষণার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল যে ভারতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের আনুমানিক সংখ্যা ৭৭ মিলিয়ন। তারপরও এদেশের গবেষক ও চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন যে সংখ্যাটা অতটা নয়। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুরনো তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অনুমানের ওপর নির্ভর করে একথা জানিয়েছিল। বিশেষ করে দেশের কিছু পূর্ব ভারতীয় রাজ্য, যেখানে দক্ষিণের তুলনায় ডায়াবেটিসের পরিমাণ কম। সেসব কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাথায় রাখেনি বলেই ভারতীয় গবেষকরা মনে করেছিলেন।

আরও পড়ুন- তিনমূর্তি হাউস মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি থেকে বাদ নেহরুর নাম, কীভাবে ঘটল বদল?

স্বাস্থ্য নীতি তৈরিতে জরুরি
প্রতিটি রাজ্য থেকে পাওয়া তথ্য-সহ এই গবেষণার ফলাফল সরকার কাজে লাগাতে পারবে। বিশেষ করে রাজ্য সরকারগুলো তাদের স্বাস্থ্য নীতি তৈরির ক্ষেত্রে এই গবেষণার ফলাফল ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্রীয়স্তরে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং ডায়াবেটিস চিহ্নিতকরণ এবং ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য কাঠামোয় ডায়াবেটিসকে লক্ষ্য করে স্বাস্থ্যনীতি তৈরিতে এই গবেষণা সাহায্য করবে। ডায়াবেটিসের ওষুধ ইতিমধ্যেই ১.৫ লক্ষ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে।

diabetes Death study
Advertisment