/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/03/Agni-V-India.jpg)
Agni V-India: ভারত সফলভাবে MIRV প্রযুক্তিতে সাজানো অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। (ছবি- ফেসবুক)
One missile, many weapons: ভারত সফলভাবে MIRV প্রযুক্তিতে সাজানো অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। যা ভারতকে ক্ষেপণাস্ত্রর ক্ষেত্রে ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলোর ছোট তালিকায় স্থান দিয়েছে। শত্রুশিবিরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটানো ছাড়াও এই ক্ষেপণাস্ত্র বিপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে ওস্তাদ। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) দেশীয়ভাবে তৈরি মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল (এমআইআরভি) প্রযুক্তি-সহ তৈরি অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম উৎক্ষেপণ পরিচালনা এবং পরীক্ষা করেছে।
একাধিক লক্ষ্যে হানা
আর, তারপরই ভারত সোমবার (১১ মার্চ) ঘোষণা করেছে যে একাধিক ওয়ারহেড বহন করতে এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম একটি নতুন অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়েছে। এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এর MIRV প্রযুক্তি। MIRV (মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল) প্রযুক্তি হল সেই ক্ষমতা, যা একাধিক ওয়ারহেডকে একটি একক মিসাইল ডেলিভারি সিস্টেমে লোড করার সুযোগ দেয়। বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য এই ব্যবস্থায় প্রোগ্রাম করা যায়, যা এই ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাত্মক সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে। MIRV ক্ষমতার বিকাশ ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপ পরমাণু অস্ত্রের ক্ষেত্রেও নেওয়া যেতে পারে।
Proud of our DRDO scientists for Mission Divyastra, the first flight test of indigenously developed Agni-5 missile with Multiple Independently Targetable Re-entry Vehicle (MIRV) technology.
— Narendra Modi (@narendramodi) March 11, 2024
MIRV প্রযুক্তি কী?
আগের ধাঁচের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো একটি একক ওয়ারহেড বা অস্ত্র বহন করে। যা লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে আঘাত করে। MIRV-সজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্রে একাধিক ওয়ারহেড থাকে। যার প্রত্যেকটি আলাদা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য প্রোগ্রাম করা যায়। সেগুলোকে একই অবস্থানে আঘাত করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার, একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে একের পর এক লক্ষ্যের সম্পূর্ণ বিনাশও নিশ্চিত করা যায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে। পাশাপাশি, এই ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু অস্ত্রও ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন- মোদীর বাজিমাত! ইএফটিএ-র সঙ্গে চুক্তি, ভারতে গড়গড়িয়ে বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা
এই প্রযুক্তি নতুন নয়
এই প্রযুক্তি নতুন নয়। এটি ১৯৬০-এর দশকেই বিকশিত হয়েছিল। ১৯৭০-এর দশকে প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে। তবে, এটি একটি জটিল প্রযুক্তি। ওয়ারহেডগুলোকে ছোট করতে হয়। তার, আলাদা বা স্বাধীন নির্দেশিকা থাকে। তার লক্ষ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বছরের পর বছর ধরে, ফ্রান্স, ব্রিটেন, চিন এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করে চলেছে। পাকিস্তানও প্রথমবার ২০১৭ সালে, আর তারপর ২০২৩-এ 'আবাবিল' নামে এমআইআরভি-সজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে বলে দাবি করেছে।