অস্ত্র উৎপাদনের স্বনির্ভরতায় ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে চিন, দ্বিতীয় জাপান, তৃতীয় দক্ষিণ কোরিয়া। তার পরেই ভারত। তালিকার অষ্টম স্থানে আচ্ছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI)-এর দেওয়া তথ্যে একথা জানা গিয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত অস্ত্র উৎপাদনে স্বনির্ভরতার ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা তৈরিতে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখা হয়েছে, তার প্রধান হল-
১) অস্ত্র সংগ্রহ- যেখানে অস্ত্র আমদানি, লাইসেন্সপ্রাপ্তি, সংগৃহীত মোট অস্ত্র আর দেশে উৎপাদিত অস্ত্রের পরিসংখ্যানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
২) অস্ত্র শিল্প- সমীক্ষায় প্রতিটি দেশের পাঁচটি বৃহত্তম অস্ত্র কোম্পানিকে মাথায় রাখা হয়েছে। ২০২০ সালে ওই সব দেশের অস্ত্র উৎপাদন, রফতানি, গ্রাহকদের কাছে অস্ত্র ও সামরিক পরিষেবা বিক্রির হিসেব মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে তালিকা।
৩) সমুদ্রের যানবাহন ও ড্রোন- সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে চলতে সক্ষম যানবাহন আর সমুদ্রের ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন। তার সঙ্গে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম যান- এই সবকিছুকেই মাথায় রাখা হয়েছে তালিকা তৈরির সময়।
সামুদ্রিক যানবাহনকে এই পরিসংখ্যানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিপুল জলভাগে বহু দ্বীপরাষ্ট্র আছে। সেই কারণে, এই অঞ্চলে সামুদ্রিক যানবাহন এবং অস্ত্রকে উপেক্ষা করা যায় না। গবেষণায় ১২টি দেশকে মাথায় রাখা হয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এই দেশগুলোই তাদের সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে থাকে। এই দেশগুলো হল-অস্ট্রেলিয়া, চিন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
আরও পড়ুন- তপশিলির মর্যাদা চেয়ে মামলা করেছিল খ্রিস্টান-মুসলিমরা, কেন্দ্র কমিশন গড়ল শিখ-বৌদ্ধদের জন্য
আন্তর্জাতিক সংস্থাটি মনে করছে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্বনির্ভরতার পরিমাণ নির্ধারণ করা, দেশগুলোর মধ্যে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ ক্রমশ বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে অস্ত্র উৎপাদনও। ২০২০ সালে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ১৮টি অস্ত্র উত্পাদনকারী সংস্থা বিশ্বে বৃহত্তম অস্ত্র সংস্থাগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
Read full story in English