/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/indo-pak-explained.jpg)
এই প্রথম ভারত-পাক কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হল না
জম্মু কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর ভারতে থাকবেন না, এবং এ দেশ থেকে ভারতের রাষ্ট্রদূতদের ফেরত পাঠানো হবে।
এর আগে, ২০০১ সালেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এরকম চেহারা নিয়েছিল। সংসদে জৈশ এ মহম্মদের হামলার প্রতিবাদে সে দেশ থেকে তৎকালীন হাই কমিশনার বিজয় নাম্বিয়ারকে ফেরত এনেছিল ভারত। তার উত্তরে পাকিস্তানও তাদের হাই কমিশনার আশরফ জাহাঙ্গির কাজিকে ফেরত নিয়ে যায়।
দুই ডেপুটি কমিশনার এক বছরের বেশি সময় ধরে ঘাঁটি আগলে বসেছিলেন সেবার।
আরও পড়ুন, সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করল পাকিস্তান, বন্ধ ভারতের হিন্দি সিনেমাও
২০০৩ সালে ভারত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার তথা কার্যকরী হাই কমিশনার জলিল আব্বাস জিলানিকে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে বহিষ্কার করে। পাকিস্তানও প্রত্যুত্তরে তৎকালীন ভারতীয় হাই কমিশনার সুধীর ব্যাসকে ফেরত পাঠায়।
২০০৩ সালের পরের দিকে দু দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক যথাযথ ভাবে শুরু হয় যখন পাকিস্তান আজিজ আহমেদ খানকে হাইকমিশনার নিযুক্ত করে দিল্লি পাঠায়। ভারতও তখন শিবশঙ্কর মেননকে দিল্লি পাঠিয়েছিল।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়পক্ষই কূটনৈতিক স্তরে তাদের সংখ্যা অর্ধেক করে ফেলে। এ ছাড়া আরও কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। ভারত পাকিস্তানের সহ্গে বিমান, রেল ও বাস যোগাযোগ ছিন্ন করে।
আরও পড়ুন, পাকিস্তানের আকাশপথ নিষিদ্ধ: কী প্রভাব পড়তে পারে ভারতের উপর
এবার পাকিস্তানএ তাদের দূতাবাসকর্মীদের ফেরত পাঠানো ও ভারতীয় হাই কমিশনারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তান আরও কিছু সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে।
ভারত পাক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাতিল করা হয়েছে। এই বাণিজ্যের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার। সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট অনুসারে তা ২.৫ বিলিয়ন ডলারে উঠলেও উরি হামলার পর তা ফের কমে যায়।
ভারত পাকিস্তানে মূলত রাসায়নিক ও বস্ত্র রফতানি করে। পাকিস্তান ভারতে রফতানি করে মূলত তেল, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।
Read the Full Story in English