India plans to engage with China: দুই দেশের মধ্যে নানান সমস্যা। বিশেষ করে সীমান্ত সমস্যা তো একটা বিরাট ব্যাপার। সেই সব সমস্যা সমাধানে শীঘ্রই পরস্পরের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে ভারত-চিন। অন্তত দুই দেশের মধ্যে বৈঠকের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আগামী মাসের প্রথম দিকে এসসিও নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মেলনের জন্য আস্তানায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তখনই দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন মেটানোর চেষ্টা হতে পারে।
গালওয়ান এবং ভারত-চিন
এমনিতেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অগ্রগতির চেষ্টা চলছে। ২০২০ সালের ১৫ জুন, গালওয়ান সংঘর্ষ হয়েছিল। তার পর থেকে চলতি সপ্তাহ, হিসেব অনুযায়ী চার বছর হয়ে গেল। গালওয়ান সংঘর্ষ ভারত-চিন সম্পর্ককে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে গিয়েছিল। সীমান্তের সেই স্থবিরতার এখনও সমাধান হয়নি। সীমান্তের প্রতিটি পাশে এখনও প্রায় ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ সেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদে চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
শীর্ষ সম্মেলনে মুখোমুখি
এই পরিস্থিতিতে ৩-৪ জুলাই কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন হতে চলেছে। সেখানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয় কি না এবং তার কোনও অগ্রগতি ঘটে কি না, এখন সেদিকেই তাকিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল। এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিউজউইক ম্যাগাজিনকে এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, 'ভারতের জন্য, চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। এটা আমার বিশ্বাস যে আমাদের সীমান্তে দীর্ঘস্থায়ী পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান করা দরকার। যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। আর, অস্বাভাবিকতাকে আমরা পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারি।'
আরও পড়ুন- পুরোনো নালন্দার জায়গায় একই নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়! হাত মিলিয়েছে ১৭টি দেশ
সুসম্পর্ক চায় চিনও
আবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরাও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চান। এই প্রসঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলছেন, 'ভারত এবং চিনের মধ্যে সম্পর্ক শুধুমাত্র সীমান্ত পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল নয়। দুই দেশ সীমান্ত পরিস্থিতি সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখছে এবং ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটিয়েছে।'