ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান বুধবার পদত্যাগ করেছেন। এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় কোনও প্রবীণ ক্যাবিনেট মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। যদিও ব্রেভারম্যান সরকারি নিয়ম লঙ্ঘনের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ইমেল অ্যাকাউন্ট থেকে পদত্যাগের যে সরকারি নথি পাঠিয়েছেন, তাতে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ব্রেভারম্যান বলেছেন যে তিনি, 'এই সরকারের পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন।'
নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রেভারম্যান পদত্যাগ করায়, ব্রিটেনের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন গ্রান্ট শ্যাপস। যিনি আবার প্রধানমন্ত্রী পদের নির্বাচনে ট্রাসকে সমর্থন করেননি। আর, ট্রাস যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন তাঁকে পরিবহণ মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ব্রেভারম্যান সম্প্রতি ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যে তিনি ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের ভিসার সীমা পেরিয়ে যাওয়া নিয়ে বলেছেন। পরে, অবশ্য সেই মন্তব্য সামান্য হলেও ব্রেভারম্যান বদলান। তিনি বলেন, 'ভারত আর ব্রিটেনের গল্প এতটাই পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত যে তারা অনেকাংশে একই গল্প।'
কে সুয়েলা ব্রেভারম্যান
বয়স ৪৩। পেশায় আইনজীবী। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা। ২০১৫ সালে ফেয়ারহ্যাম থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন। থেরেসা মে সরকারের জমানায় ব্রেক্সিট বিভাগের জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু, মে সরকারের ব্রেক্সিট চুক্তির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছিলেন। কারণ, তাঁর মনে হয়েছে যে মে সরকার ব্রেক্সিট চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কোনও পদক্ষেপ করেনি।
আরও পড়ুন- দিল্লি পুরনির্বাচনে আপ-নির্ভর না আত্মনির্ভর হবেন বেছে নিন, বাসিন্দাদের আহ্বান শাহর
সম্প্রতি ব্রেভারম্যান
ব্রেভারম্যান চলতি বছরের গোড়ায় বরিস জনসনের বদলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু, দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে যান। সেপ্টেম্বরে ট্রাসের অধীনে অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারতেঙের সঙ্গেই ব্রেভারম্যান ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এর মধ্যে কোয়ারতেং অবশ্য গত ১৪ অক্টোবরই বরখাস্ত হয়েছেন। এবার ব্রেভারম্যানও পদত্যাগ করলেন। ব্রেভারম্যানের মা-বাবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ১৯৬০-এর দশকে তাঁরা ব্রিটেনে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁর মা ছিলেন মরিশাসের বাসিন্দা। বাবা কেনিয়ার। তাঁর মা তামিল হিন্দু বংশের। বাবা পূর্বপুরুষ ছিলেন গোয়ার বাসিন্দা।
Read full story in English