Advertisment

2004 Lok Sabha elections: মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাজপেয়ীর ‘ইন্ডিয়া শাইনিং’! মনমোহনী ভরসায় কোনওমতে বাঁচতে চেয়েছিল ইউপিএ

UPA era: ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে বাজপেয়ী এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, মেয়াদ শেষের ছয় মাস আগেই ২০০৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, লোকসভা ভেঙে দেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Atal Bihari Vajpayee, Manmohan Singh, অটলবিহারী বাজপেয়ী, মনমোহন সিং

Atal Bihari Vajpayee-Manmohan Singh: প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। (ছবি- এক্সপ্রেস)

India Shining failed to resonate leading to the UPA era: কার্গিলের বিজয়গাথা তখন পুরোনো হয়ে গিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতিতে নাজেহাল দেশ। গ্যাস থেকে সবজির দাম লাফিয়ে বাড়ছে। তার মধ্যে চড়চড়িয়ে 'শাইনিং ইন্ডিয়া' প্রচার চালাচ্ছিল বিজেপি। সৌজন্যে নগরায়ন, সোনালি চতুর্ভুজের মত বিভিন্ন প্রকল্প। যথারীতি, দেশবাসী মেনে নিতে পারেনি। আর, মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাজপেয়ীর সরকার। সূচনা হয়েছিল ইউপিএ যুগের।

Advertisment

বিজেপি আত্মবিশ্বাসী ছিল
২০০৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৩তম লোকসভা ভেঙে যাওয়ার একদিন আগে, বিজেপি সাংসদদের বেশিরভাগই দাবি করেছিলেন এনডিএ ক্ষমতায় ফিরছে। তাঁদের কথায় আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়েছিল। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর একটি আগে থেকে রেকর্ড করা টেলিফোন-বার্তা, 'ম্যায় অটলবিহারী বাজপেয়ী বোল রাহা হুঁ' মার্কা 'ইন্ডিয়া শাইনিং' প্রচারাভিযান দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, ফলাফল যায় কংগ্রেসের পক্ষে।

বিজেপির আত্মবিশ্বাসের কারণ
ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে বিজেপির আত্মবিশ্বাসের কারণ ছিল, আর্থিক বৃদ্ধি। ২০০৩ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মোট দেশীয় পণ্য উৎপাদনের বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪%। বাজপেয়ীর জনপ্রিয়তা সর্বকালের সর্বোচ্চ স্থান ছুঁয়েছিল, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ফুলে উঠছিল। বিরোধী দল পরপর নির্বাচনে হারছিল। ২০০৩ সালে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস হেরেছিল। নির্বাচন মূলত ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে বাজপেয়ী এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, মেয়াদ শেষের ছয় মাস আগেই ২০০৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, লোকসভা ভেঙে দেন।

'শাইনিং ইন্ডিয়া' মুখ থুবড়ে পড়ে
শেষ পর্যন্ত, 'ইন্ডিয়া শাইনিং' প্রচার মুখ থুবড়ে পড়ে। সেই মুখ থুবড়ে পড়া, পরবর্তী একদশক বিজেপিকে ক্ষমতার বাইরে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত বাজপেয়ীর স্থলাভিষিক্ত হন ইউপিএর মনমোহন সিং। তিনিই হন নতুন প্রধানমন্ত্রী। পিভি নরসিমহা রাও মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী, প্রাক্তন আমলা মনমোহন সিং পরবর্তী ১০ বছর, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের (ইউপিএ) নেতৃত্ব দেন।

নতুন রাজ্যের গঠন
২০০০ সালে, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (NDA-II) সরকার তিনটি নতুন রাজ্য তৈরি করেছিল। সেগুলো হল- উত্তরপ্রদেশকে ভাগ করে উত্তরাঞ্চল (পরে উত্তরাখণ্ড নামকরণ করা হয়), বিহারকে ভাগ করে ঝাড়খণ্ড এবং মধ্যপ্রদেশকে ভাগ করে ছত্তিশগড় রাজ্য।

আরও পড়ুন- ঝলসানো গরম! দমবন্ধ পরিস্থিতি, বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহের দাপট, মারাত্মক কিছুর ইঙ্গিত?

বাজপেয়ী সরকারের বিভিন্ন কাজ
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY) এবং সোনালি (গোল্ডেন) চতুর্ভুজ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই এবং চেন্নাইয়ের সঙ্গে সংযোগকারী একটি জাতীয় মহাসড়ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, ভারত-পাকিস্তান বিরোধ এবং কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হয়েছিল। গৃহঋণ পাওয়ার রাস্তা সহজ করা হয়েছিল। বিজেপি এবং বাজপেয়ী ভেবেছিল, এতেই খুশি হয়ে দেশবাসী ফের তাদের ক্ষমতায় ফেরাবেন।

bjp CONGRESS manmohon singh Atal Bihari Vajpayee NDA UPA
Advertisment