India signs trade agreement with EFTA: ভারত-ইএফটিএ বাণিজ্য চুক্তি করেছে। কিন্তু, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের এফটিএর মত বড় চুক্তিগুলো এখনও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তারই মধ্যে ভারত রবিবার (১০ মার্চ) আইসল্যান্ড, লিচেনস্টাইন, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড- চার দেশের ইউরোপীয় মুক্ত বাণিজ্য সমিতি (ইএফটিএ)-এর সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিটিতে ১৫ বছরে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা বলা আছে। ইএফটিএ যৌথ উদ্যোগের দিকে নজর দিচ্ছে। যা ভারতকে চিন থেকে আমদানি পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়াতে সহায়তা করবে।
ভারতের কাছে এই চুক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ভারত-সহ ৬৪টিরও বেশি দেশে এই বছর নির্বাচন হচ্ছে। যার অর্থ, ভারত এবং এর বাণিজ্য অংশীদারদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (এফটিএ) অংশগ্রহণে দীর্ঘ বিরতি ঘটতে পারে। যাই হোক, সাম্প্রতিক অতীতে প্রথমবারের মতো চিন থেকে দূরে সরে যাওয়ায় বৈশ্বিক বিনিয়োগ সাপ্লাই চেইন পুনরায় দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে বলেই সময় দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার জন্য আটকে
বিশ্বব্যাপী ভারতকে শীর্ষ প্রতিযোগী হিসেবে দেখা হলেও, ভিয়েতনামের নেতৃত্বাধীন অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান দেশগুলি) এবং মেক্সিকোর মত উত্তর আমেরিকার দেশগুলোও বিনিয়োগের অনুকূল গন্তব্য হিসেবে উঠে আসছে। বিনিয়োগ প্রবাহকে সুবিন্যস্ত করতে বিলম্ব এবং বৈশ্বিক একীকরণের নতুন প্রচেষ্টা ভারত তথা একটি ভূ-রাজনৈতিক সুযোগ নষ্ট করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-ইএফটিএ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের এফটিএর মতো বড় চুক্তিগুলো এখনও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।
আরও পড়ুন- বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রার ব্যাপক বৃদ্ধি, মিথেনই কারণ, বিরাট আশঙ্কা প্রকাশ বিজ্ঞানীদের
কেন ভারত ইএফটিএ চুক্তি অনুযায়ী বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পালনের জন্য চাপ দিচ্ছে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ভারতের সঙ্গে তার বেশিরভাগ শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদারের বাণিজ্য বর্তমানে ঘাটতিতে চলছে। ভারত অতীতে, বিশেষ করে আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে যে এফটিএ স্বাক্ষর করেছে, তার ক্ষেত্রেও এই ব্যাপারটি সত্যি। তার মধ্যেই আসিয়ানের সঙ্গে এফটিএ ভারতকে পণ্য সুরক্ষিত করতে সাহায্য করেছে। ভারতের ক্রমবর্ধমান গড় শুল্ক (১৮ শতাংশ)-এর অর্থ হল যে ভারতের এফটিএ অংশীদারদের শুল্ক নির্মূলের পরে ভারতীয় বাজারে অংশগ্রহণের আরও ভালো সুযোগ থাকছে। কারণ, উন্নত দেশগুলোতে গড় শুল্ক প্রায় ৫ শতাংশের কাছাকাছি।