বেকারত্বের বাড়া-কমা চলছে। শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার তুলনায় এক লাফে বেড়েছে খানিকটা। গত বছরের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে বেকারত্বের হার ছিল ৯.৩ শতাংশ, যা পরের ত্রিমাসিক অর্থাৎ এপ্রিল-জুনে এসে হয়েছে ১২.৬ শতাংশ। তবে, কোভিডের প্রথম তরঙ্গে এই হার পৌঁছেছিল ২০.৮ শতাংশে। ফলে, সে তুলনায় মন্দের ভাল অবস্থায় রয়েছে মাপকাঠি। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিস বা এনএসও-র পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে রিপোর্ট থেকে এই তথ্য তুলে ধরছি আমরা।
সংখ্যাতত্ত্ব
বেকারত্বের হার দেশ জুড়ে বেড়ে গিয়েছিল মহামারির প্রথম তরঙ্গে। যখন লকডাউন চলেছে নিরন্তর। তথ্য বলছে, ২০২১-এর এপ্রিল-জুনে শহরাঞ্চলে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সিদের মধ্য়ে বেকারত্বের হার পৌঁছায় ২৫.৫ শতাংশে। তার আগের বছর, ২০২০ সালের এপ্রিল-জুনে এই বয়সিদের বেকারত্বের হার ছিল আরও বেশি, ৩৪.৭ শতাংশ। গত বছরের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে অবশ্য বাড়তে থাকা বেকত্বরে হার কমার ছবিটা সামনে আসে, তা ছিল ২২.৯ শতাংশ। শহরাঞ্চলে মেয়েদের অবস্থা ছেলেদের তুলনায় বেশি খারাপ, সেই ছবিটাও ধরে পড়েছে। কী রকম? শহুরে মেয়েদের বেকারত্বের হার ছিল, ২০২০-র এপ্রিল-জুনে ৩৬ শতাংশ, এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ৩৪.৩ শতাংশ। কী করে বেকারত্বের হার স্থির করা হয়?
কর্মক্ষম মানুষ, যাকে ইংরাজিতে বলে লেবার ফোর্স, তার মধ্যে যত শতাংশ বেকার, সেইটিই বেকারত্বের হার। যদি কোনও কর্মক্ষম ব্যক্তি সপ্তাহের মধ্যে কোনও একদিনে এক ঘণ্টার জন্যও জীবিকাহীন হয়ে পড়েন এবং তিনি জীবিকা খোঁজেন এবং বা কাজের জন্য তাঁর দরজা খোলা থাকে, তা হলে ওই ব্যক্তিকে বেকার বলতে হবে। পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে রিপোর্টে সপ্তাহের হিসেবে বেকার-সকারের জল মাপা হয়। এবং বেকারত্বের কারেন্ট উইকলি স্টেটাস বা সিডবলিউএসগুলির গড় হিসেব করে ত্রৈমাসিকের বেকারত্ব কিংবা সকারত্বের হিসেবটা দেখা হয়।
সিএমআইই-র তথ্য
সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা সিএমআইই। যারা নিয়মিত বেকারত্বের ডেটা দিয়ে থাকে। তাদের হিসেবে গত বছরের এপ্রিলে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ৯. ৭৮ শতাংশ। মে মাসে যা বেড়ে হয় ১৪.৭২ শতাংশ। জুনে আবার কমে, হয়-- ১০.০৮ শতাংশ। ২০২১-এর জুলাইতে আরও কমে পৌঁছায় ৮.৩২ শতাংশে। কিন্তু ফের বাড়ে অগস্টে, হয়-- ৯. ৭৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে আবার একটু কমে পৌঁছয়-- ৮.৬৮ শতাংশে। ডিসেম্বরে আবার ঝপ করে বেড়ে গিয়ে, ৯. ৩০ শতাংশ হয়ে যায়। এ বছরের জানুয়ারিতে ৮.১৬। ফেব্রুয়ারিতে ৭.৫৫ শতাংশ হয়েছে এই হার।
Read story in English