এলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিতর্কের শিরোনামে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থা টুইটার। বিষয়বস্ত আলাদা হলেও বিতর্কের শেষ নেই এই সংস্থাকে নিয়ে। এবার যেমন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু 'টুইটার ফাইলস'। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে বাইডেনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের সময় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থাটি অতিরিক্ত সক্রিয়তা দেখিয়েছে। ঘটনাটি ২০২০ সালের।
সেই সময় টুইটার অতি সক্রিয়তা দেখিয়ে জো বাইডেনের ছেলে হান্টার এবং ইউক্রেনে তার সন্দেহজনক ব্যবসায়িক লেনদেনের বিষয়ে প্রচার রুখেছিল। একটি ঘটনার কথা জানাজানি হতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত বাইডেনের প্রচার। সেই জন্য সেই ঘটনার প্রকাশ রুখে দিয়েছিল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থাটি। আর, সেই লেনদেনের জানাজানি রুখতে চালু করেছিল সেন্সরশিপ।
সেই বিষয়ই টুইটার ফাইলস 2.0। যা প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক বারি ওয়েইস। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থার কর্মচারীরা, এলন মাস্কের কাছে কোম্পানিটি বিক্রি করার আগে, ব্যবহারকারীদের ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ চালাতেন। কোনও পোস্ট দেখা যাবে কি না, ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন। বিশেষ করে কনজারভেটিভ পার্টিকে মাথায় রেখে এই নিয়ন্ত্রণের কাজটি করত টুইটার।
টুইটারের কর্মীরা যে নিয়ন্ত্রণ করতেন, 'ভিজিবিলিটি ফিল্টারিং (VF)' ব্যবহারের মাধ্যমে। এই
ভিজিবিলিটি ফিল্টারিঙের মাধ্যমে কোনও ব্যবহারকারীর পোস্ট ব্লক করতেন টুইটারের কর্মীরা। কোনও ব্যবহারকারী যদি কোনও বিষয়ে অনুসন্ধান করেন, সেই অনুসন্ধান ব্লক করেছেন টুইটারের কর্মীরা। আবার কোনও ক্ষেত্রে হ্যাশট্যাগের ব্যবহারে কাঁচি চালানোর কাজও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘বিয়ে ছাড়া ডিসেম্বরে তারিখ নেই’, শুভেন্দুর পাল্টা জানুয়ারি ডেডলাইনে ‘রসিকতা’ কুণালের
এই সব ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো ক্ষুব্ধ ভারত সরকারের ইলেকট্রনিকস এবং আইটি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি 'বিরক্তিকর'। চন্দ্রশেখর পরিষ্কার জানিয়েছেন, এই ধরনের যাবতীয় ঘটনা রুখতে কঠিন ও কঠোর আইন ভারতে আছে। মোদী সরকার আইটি আইন সংস্কার করেছে। তাতে কিন্তু, এই ধরনের বিষয় রোখার যাবতীয় ব্যবস্থা আছে। তাই টুইটার যদি এমন ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটিয়ে থাকে। অথবা ভারতে ঘটানোর চেষ্টা করে, ভারত সরকার তা একদমই সহ্য করবে না।
চন্দ্রশেখর বলেন, 'এটা হতে পারে না যে কিছু লোক কথোপকথন বিকৃত করছে, এটা মোটেও মানা যায় না।' মন্ত্রী জানান, সরকার এই ধরনের ঘটনা রুখতে একটি আপিল কমিটি তৈরি করবে। সেই কমিটির কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। আপিল কমিটির সদস্যরা অভিযোগ অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Read full story in English