মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জে সেনসেক্স শুক্রবার সকালে এক ধাক্কায় পড়ল ১৪৫৯ পয়েন্ট (৩.৮ শতাংশ)। ভারতীয় টাকারও পতন ঘটল ডলারের সঙ্গে বিনিময়মূল্যের নিরিখে, ৫২ পয়সা কমে দাঁড়াল ৭৩.৮৭। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ঘটনাক্রম ত্বরান্বিত করেছে এই ধ্বস।
Advertisment
ইয়েস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহকরা মাসিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না, গতকাল জারি হওয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই নিষেধাজ্ঞা যেমন দেশের অর্থনৈতিক এবং ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে, পাশাপাশি করোনাভাইরাসের বাড়তে থাকা দাপটে শুক্রবার সকাল থেকে এশীয় দেশগুলির বাজারে ক্রমবর্ধমান মন্দাও ছাপ ফেলেছে ভারতের শেয়ার বাজারে।
যে ৩০টি 'স্টক'-এর বাজারদরের ওঠানামা মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জের সেনসেক্সের সূচক নির্ধারণ করে, তার সিংহভাগের পতন ঘটেছে আজ, অর্থাৎ শুক্রবার সকাল থেকে, তবে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য ধ্বস দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে। মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যাঙ্কিং সূচকের হ্রাস ঘটে ৪.১৫ শতাংশ। অর্থনৈতিক সূচকেরও পতন ঘটে ৩.৯৮ শতাংশ।
Advertisment
ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার আজ বিক্রি হয়েছে ২৫.৮ টাকায়। গতকালের ঘোষণার পর রাতারাতি বাজারদর পড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের দাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে ধস
ভারতের শেয়ার বাজারে চলতি ধ্বসের নেপথ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো এশিয়ার একাধিক দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলির বাজারেও ক্রমবর্ধমান মন্দা। জাপান, হংকং এবং চিনের 'সংযুক্ত শাংহাই'-এর বাজারে অর্থনৈতিক সূচকের পতন যথাক্রমে ২.৯, ২.১৫ এবং ১ শতাংশ। এর আগে আমেরিকার ডো জোন্স শিল্পসূচকের বৃহস্পতিবার পতন ঘটে ৩.৬ শতাংশ।
Besides Yes bank factor, markets are also under pressure following the sharp decline in global markets on account of growing concerns over economic impact of coronavirus spread .. Nikkei down 3% and Hang Seng down 2% ... all major markets on a decline @IndianExpress
প্রায় ৮৫টি দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তার অর্থনৈতিক প্রভাবের জেরে বাজারে টালমাটাল অবস্থা জারি থাকারই সম্ভাবনা। বিভিন্ন দেশ তাদের সীমান্ত বহিরাগতদের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কত তাড়াতাড়ি করোনাভাইরাসের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তার উপরই নির্ভর করবে বাজারের চাঙ্গা হওয়া।
ভারতের ক্ষেত্রে ইয়েস ব্যাঙ্ক, জেট এয়ারওয়েজ, ডিএইচএফএল-এর মতো সংস্থার সঙ্কট সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাঙ্কিং এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দুর্বল এবং অনিশ্চিত অবস্থা দেশের অর্থনীতির সার্বিক পুনরুজ্জীবনের পথে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে।