Advertisment

Explained: নৌ সেনার নতুন প্রতীক আক্ষরিক অর্থেই ভারতীয়ত্বের ধ্বজাধারী, কী তার বিশেষত্ব?

নতুন প্রতীকের অষ্টভুজাকার আকৃতিটি আটটি দিককে প্রতিফলিত করছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Chhatrapati Shivaji

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবারই কোচিতে আইএনএস বিক্রান্তের কমিশনিংয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন পতাকা (পতাকা) উন্মোচন করেছেন। নতুন নেভাল সাইন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের সিলমোহর বহন করছে। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের নৌবাহিনী তাঁর শত্রুদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল। সেই রকম ভারতীয় নৌবাহিনীও এখন আকাশ এবং সমুদ্রে গর্বের সাথে বিচরণ করবে বলেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

Advertisment

নতুন নৌ চিহ্ন
নতুন পতাকার ওপরের বাম কোণে জাতীয় পতাকা রয়েছে। একটি নীল অষ্টভুজ নোঙরের ওপরে বসে থাকা জাতীয় প্রতীককে ঘিরে রয়েছে। নোঙর এর অটলতাকে চিত্রিত করে দেবনাগরীতে নৌবাহিনীর নীতিবাক্য- 'সম ন বরুণা' খোদাই করা একটি ঢালের ওপরে লেখা রয়েছে।

অষ্টভুজাকার আকৃতিটি আটটি দিককে প্রতিনিধিত্ব করছে। যা নৌবাহিনীর বহু-দিকনির্দেশক নাগালের এবং অপারেশনাল ক্ষমতার প্রতীক। অষ্টভুজে সোনার দুটি সীমানা নির্দেশ-সহ মরাঠা সম্রাট শিবাজির রাজ মুদ্রা, স্বাক্ষর রয়েছে। এই স্বাক্ষর এবং রাজমুদ্রা গৃহীত হয়েছিল, যখন শিবাজির বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। ওপরের বাম কোণে সেন্ট জর্জ ক্রসের বদলে ত্রিবর্ণ বসেছে। এই পতাকাই মূলত ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক-স্বাধীনতার পতাকার প্রকৃত উত্তরসূরি। আগে এর ওপরের বাম কোণে ব্রিটেনের ইউনিয়ন জ্যাক-সহ একটি সাদা অংশে লাল সেন্ট জর্জের ক্রস ছিল।

মারাঠা এবং ভারতীয় নৌবাহিনী
ভারতীয় নৌবাহিনী সর্বদা শিবাজির অধীনে এবং পরবর্তীকালে মারাঠা সাম্রাজ্যের সমুদ্র-যাত্রার দক্ষতাকে স্বীকার করেছে। এটি লোনাভলায় একটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করেছে আইএনএস শিবাজি, এবং ওয়েস্টার্ন নেভাল কমান্ড, মুম্বাইয়ের একটি উপকূল-ভিত্তিক লজিস্টিক এবং প্রশাসনিক হাবকে আইএনএস আংগ্রে - কানহোজি আংগ্রে (১৬৬৯-১৭২৯)-র মত খ্যাতিমান মারাঠা নৌ কমান্ডারের নামানুসারে নামকরণ করেছে।

আরও পড়ুন- মোদীর সমালোচনা করাটা বেশ ঝুঁকির ব্যাপার, বিস্ফোরক সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শ্রীকৃষ্ণ

নতুন নৌ প্রতীকে শিবাজির স্বাক্ষরের অষ্টভুজাকার নকশার ব্যবহার মারাঠা সাম্রাজ্যের নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর নাড়ির যোগের ওপর একটি আনুষ্ঠানিক ছাপ। ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি নথি বলে, “শিবাজির অধীনে নৌবাহিনী এত শক্তিশালী ছিল যে মারাঠারা ব্রিটিশ, পর্তুগিজ এবং ডাচদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে। শিবাজি নিরাপদ উপকূলরেখা রাখতে এবং পশ্চিম কোঙ্কন উপকূলরেখাকে সিদ্দিদের নৌবহরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার গুরুত্ব উপলব্ধি করে নৌবাহিনী তৈরি করেছিলেন।''

Read full story in English

Indian Navy Lonavala Flag Hoisting
Advertisment