Advertisment

Explained: নৌবাহিনীর জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ

NASM-SR সবচেয়ে বেশি ৫৫ কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
navy-copter

সম্প্রতি নৌবাহিনী ওড়িশার বালাসোরে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে একটি সি কিং হেলিকপ্টার থেকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধজাহাজ বিরোধী স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (NASM-SR) পরীক্ষা করেছে। পরীক্ষার পর এর কার্যকারিতা এবং আধুনিক নৌ যুদ্ধে পারদর্শিতা সম্পর্কে নিশ্চিত নৌবাহিনী।

Advertisment

নৌবাহিনী পরীক্ষিত এই NASM-SR কি?
NASM-SR প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) তৈরি করেছে। ২০১৮ সালে প্রথমবার এর আধুনিকীকরণ আমজনতার কাছে তুলে ধরা হয়েছিল। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে এই ক্ষেপণাস্ত্রর উল্লেখ করেছিলেন। পরে, এটি লখনউয়ে অনুষ্ঠিত ২০২০ প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়।

NASM-SR সবচেয়ে বেশি ৫৫ কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এর ওজন ৩৮৫ কেজি। এই ক্ষেপণাস্ত্র সি ঈগল ক্ষেপণাস্ত্রের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীতে সি ঈগল ক্ষেপণাস্ত্রই ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধু সি ঈগলই না। ভারতীয় নৌবাহিনী তার সি কিং হেলিকপ্টারগুলোও পর্যায়ক্রমে বাদ দিচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে যে NASM-SR নতুন MH-৬০R মাল্টিরোল হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। এই মাল্টিরোল কপ্টারগুলোও ধীরে ধীরে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত দিকগুলো কী কী?
NASM-SR ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ১০০ কেজির একটি ওয়ারহেড বহন করে, এর গতি সাবসনিক। মানে, ০.৮ Mach-এর কাছাকাছি, শব্দের চেয়ে কম। সাবসনিক গতি থাকায় জাহাজগুলোর পক্ষে এই ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা কঠিন। উপকূল থেকে জাহাজ লক্ষ্য করে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়। এই ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৩ কিলোমিটার উঁচু জায়গা থেকে ছোড়া যেতে পারে। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সময় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা থাকে ৫ মিটার। সম্প্রতি এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রর সাহায্যে সাফল্যের নজির গড়েছে ইউক্রেন সেনা। রাশিয়ার জাহাজ মস্কভাকে ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য তারা এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রই ব্যবহার করেছিল।

আরও পড়ুন- দূষণের ঘেরাটোপে ভারত, মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক, কী বলছে আন্তর্জাতিক রিপোর্ট?

এর সাহায্যে কি ছোট নৌযানও ধ্বংস করা যায়?
NASM-SR ছোট জাহাজ যেমন টহলদারি নৌকোর বিরুদ্ধেও খুবই কার্যকরী। পাশাপাশি এটি বড় জাহাজও ধ্বংস করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্র হালকা হওয়ায় সহজে হেলিকপ্টারের সাহায্যে বহন করা যায়। এর ফলে নৌবাহিনী কমান্ডার সমুদ্রে কৌশলগত যুদ্ধে এখন এই ক্ষেপণাস্ত্র বেছে নিচ্ছেন।

Read full story in English

Indian Navy Testing missile
Advertisment