বিপুল পরিমাণ জমির মালিক ভারতীয় রেল। বিভিন্ন জায়গায় রেলের জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে বলে হামেশাই অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে হলদওয়ানির জমি অধিগ্রহণ মামলার জেরে। অভিযোগ উঠেছে, এখানেও কয়েক হাজার পরিবার রেলের জমি দখল করে বসতি স্থাপন করেছে। তাদের উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের সেই উচ্ছেদ স্থগিত করে দিয়েছে।
ভারতীয় রেলের ৬৮টি বিভাগ আছে, ১৭টি জোন রয়েছে। দেশের অসামরিক সংস্থাগুলোর মধ্যে রেল রয়েছে এক নম্বরে। অভিযোগ যে প্রতিটি জোনেরই জমি বেদখল হয়েছে। এমনকী, রেলের উৎপাদন ইউনিটের জমিও বেদখল হয়ে গিয়েছে। ব্রিটিশরা যখন ভারতের রেল পরিবহণ ব্যবস্থা তৈরি করেছিল, সেই সময় তারা একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিল। সেই নেটওয়ার্ক আরও বাড়ানোর ইচ্ছা ছিল ব্রিটিশদের। এর জন্য বিপুল পরিমাণ জমির দরকার ছিল। সেই মত বিপুল পরিমাণ জমির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বর্তমানে, ভারতীয় রেলের ৪.৮৬ লক্ষ হেক্টর জমি রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে ৭৮২.৮১ হেক্টর জমি দখল হয়ে গিয়েছে। এই জমি ভারতের বৃহত্তম মোতেরার নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের আকারের প্রায় ৩১টি স্টেডিয়ামের সমতুল্য। রেলের এই বেশির ভাগ জমিই রয়েছে তার ট্র্যাকের পাশে। সেটা নতুন লাইন তৈরির জন্য। এই জমি পণ্য পরিবহণে কয়েকগুণ গতি আনার জন্য ভারতীয় রেল রেখেছে।
আরও পড়ুন- আবাস যোজনার তদন্তে এসে বিপাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! কালো পতাকা-তুমুল বিক্ষোভে নাস্তানাবুদ
রেল জানে যে তার বিস্তীর্ণ জমি দখল হয়ে যেতে পারে। সেজন্য রেলের প্রতিটি বিভাগে নিয়মিত জমির পরিমাপ চলে। কোথায় দখল হতে পারে, অথবা হয়েছে, তা চিহ্নিত করা হয়। আর, নতুন করে যেখানেই দখল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেখানে রেল জমিরক্ষার জন্য সীমানা প্রাচীরও তৈরি করে। কখনও আবার রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ এবং রাজ্য সরকারের সহায়তায় জমি দখলমুক্ত করে। বিশেষ করে সেই জমি যদি নতুন করে দখল করা হয়, অস্থায়ী কাঠামো হয়, হালকা কাঠামো হয়, তবে।
Read full story in English