Indian start-ups 2023 & 2024: নতুন শিল্পদ্যোগ বা ব্যবসার জন্য ২০২১ ছিল আদর্শ। ভারতীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের বাস্তুতন্ত্রে (ecosystem) স্টার্ট আপ (start-up) নতুন পরিচিতির সৃষ্টি করেছিল। এক বিশ্বাসযোগ্যতার সিলমোহর দিয়েছিল। তার দু'বছর পর, ২০২৩ কিন্তু, নতুন উদ্যোগকারীদের জন্য ততটা ভালো যায়নি। বরং, চিন্তা বাড়িয়েছে। উদ্যোগীদের আশা, ২০২৪-এ তাঁরা লাভের মুখ দেখবেন। খরচও কমবে।
- গত বছর, ভারতীয় স্টার্ট-আপগুলোর আয় ছিল ৮.৩ বিলিয়ন ডলার।
- ২০২২ সালে, ভারত ২৩টি ইউনিকর্নকে পেয়েছে।
- ২০২৩ সালে বিভিন্ন স্টার্ট-আপে কর্মরত ২০,০০০-এরও বেশি লোক তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন।
ভারতীয় স্টার্ট-আপগুলোর জন্য ২০২৩ কেমন ছিল?
গত বছর, ভারতীয় স্টার্ট-আপগুলোর আয় ছিল ৮.৩ বিলিয়ন ডলার। এটি ২০১৬ সালের পর সর্বনিম্ন বৃদ্ধি। এটা যেন হওয়ারই ছিল। ভারতীয় স্টার্ট-আপগুলো গত তিন বছরে ব্যাপকহারে ৭২% হ্রাস পেয়েছে। যা স্পষ্ট করেছে, কোভিড-১৯ স্বেচ্ছাদ্যোগীদের মূলধনে কতটা কুপ্রভাব ফেলেছে। ২০২২ সালে, ভারত ২৩টি ইউনিকর্নকে পেয়েছে। যে বেসরকারি ব্যবসায়িক সংস্থা ১ বিলিয়ন ডলার ব্যবসা করতে সক্ষম, তাদের বোঝাতে ইউনিকর্ন শব্দটি ব্যবহার হয়। কিন্তু, তার পরের বছর ২০২৩ সালে, মাত্র দুটি সংস্থা এই মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালে বিভিন্ন স্টার্ট-আপে কর্মরত ২০,০০০-এরও বেশি লোক তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। ন্যাসকম এবং জিনভের (Nasscom-Zinnov) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠাতারা ২০২৩ সালে নগদ প্রবাহের সমস্যায় ভুগেছেন। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত গ্রাহকের চাহিদাও তাদের সমস্যায় ফেলেছে। একই সময়ে, জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) চালানোর আশায় বেশ কয়েকটি সংস্থা তৈরি হয়েছে। যারা ২০২৪ সালে লাভের মুখ দেখতে পারে। শুধু তাই নয়, এআই ব্যবসায় সংস্থার সংখ্যাও এবছর বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন- বিলকিস বানো মামলায় ফের কারাগারের পিছনে ধর্ষকরা, কেন সুপ্রিম কোর্টের এই বোধোদয়?
তহবিল হ্রাসের প্রভাব কোথায় সবচেয়ে বেশি ছিল?
পুরোনো সংস্থাগুলো নতুনদের সহজে ছেড়ে দেয়নি। ২০২৩ সালে তহবিল সংগ্রহ কমে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে বিনিয়োগের ওপর। ন্যাসকম-জিনভ (Nasscom-Zinnov) রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩ সালে নতুন শিল্পে বিনিয়োগ ২০২২ সালের তুলনায় ২৯%-এ নেমে এসেছিল। ব্যবসায় লাভ প্রায় হয়নি বললেই চলে। ২০২২ সালেও বেশ কিছু বড়সড় নতুন উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে শুরু হতে হতেও হয়নি। এমন উদ্যোগের সংখ্যা ছিল ৪২। সেটাই ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ১২। ন্যাসকম-জিনভ (Nasscom-Zinnov)-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নতুন পর্যায়ের উদ্যোগ ২০২৩ সালে চূড়ান্ত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। নতুন উদ্যোগ শুরুর জন্য দরকার ছিল ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বদলে, নতুন উদ্যোগগুলো সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন- মুক্তিপ্রাপ্তদের জেলে ফেরত পাঠাতে বলেছে আদালত, সাজাপ্রাপ্তদের এখন আইনি পথ কী?
কেমন যেতে পারে ২০২৪?
২০২৩ সালে ভারতীয় অটোমোটিভ টেক স্টার্ট-আপগুলোতে তহবিল ১৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে ২০২২ সালের তুলনায় মোট অর্থায়ন ৪.৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনটাই বলা হয়েছে ন্যাসকম-জিনভ (Nasscom-Zinnov) রিপোর্টে। শুধু তাই নয়, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে মেগা-ডিলের মূল্য ৫৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। সাপ্লাই চেইন এবং লজিস্টিক সেক্টরের স্টার্ট-আপগুলোও অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। বিনিয়োগকারীরা ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কমার্স (ONDC) ইকোসিস্টেমের বৃদ্ধির ওপর বাজি ধরেছেন। যা লজিস্টিক স্পেসে স্টার্ট-আপের বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তুলবে। প্রযুক্তি স্টার্ট-আপগুলোর প্রায় ৬০% রাজস্ব এবং মুনাফা বাড়িয়েছে। এমনটাই বলছে রিপোর্ট। পাশাপাশি, শতাধিক জেনারেটিভ এআই স্টার্ট-আপ এখন ভারতের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমে সক্রিয়। এই সব অগ্রগতির প্রভাব বর্তমান বছরে পড়বে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।