Advertisment

Explained: করমণ্ডল দুর্ঘটনা 'কবচ'-এর প্রয়োজনীয়তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল, কীভাবে?

দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায় শুরু হয়েছিল ট্রেন দুর্ঘটনা রোখার জন্য এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kavach

সবটাই চলল পরিকল্পনা অনুযায়ী। একটি ইঞ্জিনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অন্যটিতে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভিকে ত্রিপাঠী। দুটি ট্রেন একই রেলপথ ধরে পরস্পরের দিকে ছুটে এল। কিন্তু, স্বয়ংক্রিয় ব্রেক ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ। ইঞ্জিন দুটি পরস্পরের থেকে ২০০ মিটার দূরেই থেমে গেল। যার ফলে দুটি ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে সক্ষম হল। যে ব্যবস্থার সাহায্যে এই সংঘর্ষ এড়ানো গেল, সেই প্রযুক্তির নাম 'কবচ'। এটা হল দেশীয়ভাবে তৈরি স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থা। ২০২২ সালের মার্চে এভাবেই দেশবাসীকে রেলমন্ত্রী বুঝিয়েছিলেন কীভাবে রেল দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

Advertisment
publive-image

সেদিনও ছিল শুক্রবার

দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কবচ নামে ওই ট্রেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা দক্ষিণ-মধ্য রেলের লাইনে দেখিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। বাজেট প্রস্তাবে ২০২২-২০২৩ সালে ২,০০০ কিলোমিটার রেলপথে এই কবচ ব্যবস্থা সংযুক্তির প্রস্তাব করা হয়। যে দিন রেলমন্ত্রী দেশবাসীকে 'কবচ' ব্যবস্থার কার্যকারিতা বুঝিয়েছিলেন, সেই দিনটি ছিল শুক্রবার। আর, তার একবছর কয়েকমাস বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেস যে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ল, সেই সন্ধ্যাও কাকতালীয় হলেও শুক্রবার।

কী এই কবচ?

রেলমন্ত্রী যবে দেশবাসীকে এই 'কবচ'-এর ক্ষমতা দেখিয়েছেন, তার একদশক আগে ২০১২ সাল থেকে এই প্রযুক্তিকে সময় উপযোগী করার চেষ্টা চলছিল। দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায় যখন এই প্রযুক্তিকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা শুরু হয়, সেই সময় এই সিস্টেম বা ব্যবস্থার অন্য নাম ছিল। তখন নাম দেওয়া হয়েছিল ট্রেনের সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার ব্যবস্থা বা ট্রেন কলিশন অ্যাভয়ডেন্স সিস্টেম (টিক্যাস)। মোদী সরকারের আমলে তার নামকরণে হিন্দুত্বের ভাবনাকে যুক্ত করে করা হয় 'কবচ' বা বর্ম।

আরও পড়ুন- করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা: বালেশ্বরে পৌঁছেই রেলমন্ত্রীকে পেয়ে রেল বাজেট নিয়ে তোপ মমতার

কীভাবে কাজ করে কবচ?

নাম যাই হোক, এটা আসলে একটা ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিভাইস। যার সেট ইঞ্জিন, সিগনালিং ব্যবস্থার পাশাপাশি রেলপথগুলোতেও বসানো হয়। এই ব্যবস্থা ট্রেনের ব্রেক নিয়ন্ত্রণ করতে, চালকদের সতর্ক করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা গ্রহণ করে। এটা প্রতিমুহূর্তে ট্রেনের গতিবিধির তথ্য আপডেট করে। চালক যদি সিগনাল না-মানে, তখন বলা হয় সিগনাল পাসড অ্যাট ডেঞ্জার (এসপ্যাড)। সেই সময় 'কবচ' ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে বিশেষভাবে সতর্ক করে। কারণ, রেলের ভাবনা অনুযায়ী সিগনাল না-মানাই হল দুর্ঘটনার চাবিকাঠি। সেই কারণে, 'কবচ' ব্যবস্থা কম দৃশ্যমানতায় চালকদের সামনে ঘনঘন সিগনাল দেখানোর ব্যবস্থা করে।

Rail Minister Modi Government Train Accident
Advertisment