India’s economy on jobs: ভারতীয় অর্থনীতির অসংগঠিত ক্ষেত্র কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং আধা-দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কর্মসংস্থান প্রবণতার জন্য এই ক্ষেত্রকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, গত ৭ বছরে, অ-কৃষি অসংগঠিত অর্থনীতিতে ১৬.৪৫ লক্ষ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।
Advertisment
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং পরিবারিক মালিকানা এবং অংশীদারি প্রতিষ্ঠান— এর মাধ্যমে ভারতের অর্থনৈতিক উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক উৎপাদন হয়ে থাকে। ভারতের কর্মসংস্থানের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি এই উদ্যোগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু, এই ক্ষেত্রটি বর্তমানে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। গত সাত বছরে, অনেক ইউনিট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ১৬.৪৫ লক্ষ ব্যক্তি চাকরি হারিয়েছেন। এমনটাই দেখা গিয়েছে আনইনকোর্পোরেটেড এন্টারপ্রাইজের বার্ষিক সমীক্ষায় (ASUSE)।
সমস্যার কারণ ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ সমীক্ষার ফলাফল সম্প্রতি ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস (NSSO) প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, তিনটি প্রধান বহিরাগত ধাক্কার প্রভাবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের আজ এই বেহাল দশা। এই তিনটি বহিরাগত ধাক্কা হল- নোটবন্দিকরণ (নভেম্বর ২০১৬), জিএসটি চালু করা (জুলাই ২০১৭), এবং কোভিড-১৯ অতিমারি (যা মার্চ ২০২০-তে শুরু হয়)।
পরিসংখ্যান যা বলছে এই পরিসংখ্যান বলছে, প্রাক-অতিমারি সময়ে অসংগঠিত উত্পাদন প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই সেক্টরে বেশিরভাগ নতুন চাকরিতে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়নি। বদলে, ভাড়া করা কর্মীদের দিয়ে ইউনিটের কাজ চালানোর চেষ্টা হয়েছে। যাতে কাজের গুণমান পড়েছে। পাশাপাশি, তা কর্মসংস্থানেও ব্যাপক পতন ঘটিয়েছে।
যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক্ষেত্রে যে ধরনের সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো হল অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি সংস্থা (এমএসএমই), ঘরোয়া ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগ, নিজস্ব দোকান বা এন্টারপ্রাইজে কর্মী নিয়োগ। এই সব অসংগঠিত অকৃষি প্রতিষ্ঠান বা ক্ষেত্রের কাজ বলতে: উত্পাদন, বাণিজ্য অথবা পরিষেবা। এই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াটা গোটা ভারতেরই ছবি।