Advertisment

ওমিক্রন দাপটে নাজেহাল অর্থনীতি, চড়া বেকারত্ব ডিসেম্বরে

ফের একবার সংকটে ভারতীয় অর্থনীতি

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ওমিক্রন দাপটে নাজেহাল অর্থনীতি

করোনার কারণে এক ধাক্কায় বদলে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। ভারত সহ গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এই মারণ ভাইরাস। ২০২০ সালে লকডাউনের কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। বাদ যায়নি ভারতও। দেশ জুড়ে বেড়েছে বেকারত্বের হার। চাকরি হারিয়েছেন অনেকেই। ধীরে ধীরে যখন সুস্থতার পথে হাঁটছিল ঠিক তখনই আতঙ্কের কালো ছায়া বিস্তার করেছে করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন। এর মধ্যেই সোমবার সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই) এর তথ্য দিচ্ছে দুঃসংবাদ। তাঁদের সমীক্ষা বলছে ভারতে বেকারত্বের হার ডিসেম্বরে চার মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।

Advertisment

CMIE এর তথ্য বলছে ভারতে বেকারত্বের হার নভেম্বরে ৭.০ শতাংশ থেক বেড়ে ডিসেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৭.৯ শতাংশ। যে হার আগস্টে ৮.৩ শতাংশের থেকে সর্বোচ্চ। গ্রাম ও শহরে দুই জায়গাতেই বেকারত্বের হার তুলে ধরা হয়েছে। তথ্য বলছে গত মাসের থেকে ডিসেম্বরে শহরে বেকারত্বের হার ৮.২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৩ শতাংশে। অন্যদিকে গ্রামে বেকারত্বের এই হার ৬.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭.৩ শতাংশে। এই ছবি থেকেই স্পষ্ট যে দেশে বেকারত্বের হার কমার বদলে বেড়ে গিয়েছে। এটাই এখন নতুন করে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, লকডাউনের কারণে ভারতে কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ। সেই সমস্যা যখন কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে সকলে। সরকারও দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে ঠিক তখনই ফের হানা দিয়েছে ওমিক্রন। অনেক অর্থনীতিবিদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই ওমিক্রনকে নিয়ে। কারণ অনেকেই মনে করছেন করোনার এই নয়া রূপ ফের ভেঙে দিতে পারে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এমনিতেই আগের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা যায়নি তারপর আবারও যদি ওমিক্রন দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেয় তবে ভারত সহ গোটা বিশ্বের কাছেই ঘুরে দাঁড়ানো একটি কঠিন বিষয় হয়ে উঠবে। তাতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়বে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ।

সর্বশেষ বেকারত্বের হার কত?

ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৯ শতাংশে। গত বছরের নভেম্বরে এটি দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশ এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল এ ৯.১ শতাংশে। তথ্য অনুসারে, শহরে বেকারত্বের হার ডিসেম্বরে বেড়ে হয়েছে ৯.৩ শতাংশ। যা আগের মাসে ৮.২ শতাংশ ছিল। অন্যদিকে গ্রামীণ বেকারত্বের হার ৬.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কি?

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শহরে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১০.০৯ শতাংশে। ওমিক্রন দাপটে নাজেহাল শহরের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে অনেকাংশে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সাধারণ ভাবে শহরের কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রামাঞ্চলের থেকে বেশি। তা সত্ত্বেও বেকারত্বের হার কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের দেশে ৯০ শতাংশ কর্মী অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে, সেখানে করোনা গেরোয় পরে আর্থিক কর্মকাণ্ড কার্যত বন্ধ থাকলে কাজ হারানো মানুষের সংখ্যা বাড়াই স্বাভাবিক। লকডাউনে যেভাবে কাজ হারিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকেরা পথে নেমেছিলেন, তাতে পরিস্থিতি যে বেহাল হতে যাচ্ছে, তা আঁচ করা যাচ্ছিল। সেই সঙ্গে কাজ হারিয়েছেন ঠিকা কর্মীরা। তবু এই পরিসংখ্যানে আশঙ্কা বৃদ্ধির বেশ কিছু কারণ আছে বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। করোনা তৃতীয় ঢেউ কালে ফের একবার মার খেতে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতি। চড়া হয়েছে বেকারত্ব। করোনার এই নয়া দাপট ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণ অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের।

Omicron
Advertisment