ভারতের প্রথম অ্যাপল স্টোর, মুম্বইয়ের বিকেসির জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে মঙ্গলবার উদ্বোধন হয়েছে। টেক জায়ান্ট অ্যাপলের আরও একটি বিপণি আগামী ২০ এপ্রিল দিল্লির সাকেতে উদ্বোধন হবে। প্রায় পরপর দুই দিনে দুটি অ্যাপল স্টোর ভারতের বাজারে উদ্বোধন, এককথায় অভূতপূর্ব। যা বুঝিয়ে দেয়, অ্যাপলের কাছে বাজার হিসেবে ভারত কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
কেন অ্যাপল স্টোর গুরুত্বপূর্ণ?
খুচরো বাজারে একক-ব্র্যান্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং বিধিনিষেধের ফলে অ্যাপল আগে ভারতে কোনও বিপণি খুলতে পারেনি। এতদিন পর্যন্ত, এটি ইমাজিন এবং ফিউচার ওয়ার্ল্ডের মত ভারতীয় একাধিক অংশীদারদের দ্বারা পরিচালিত স্টোর ছিল। তার প্রথম দুটি স্টোর চালু করার সঙ্গেই, Apple ভারতের খুচরো বাজারের প্রত্যক্ষ অংশীদার হয়ে উঠল। এই সব বিপণির মাধ্যমেই অ্যাপলের উত্পাদন থেকে খুচরো লেনদেন-সহ যাবতীয় কিছু পরিচালিত হবে।
ব্যবসা বাড়াবে অ্যাপল
সোমবারই অ্যাপল দাবি করেছে, তারা ভারতে ব্যবসা বাড়াবে। যার ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ১০ লক্ষ লোকের ভারতে কর্মসংস্থান ঘটবে। নতুন বিপণি চালু করায় ভারতীয় গ্রাহকরা সরাসরি গিয়ে ওই সব বিপণি থেকে আইফোন কিনতে পারবেন। যা ভারতে অ্যাপল কোম্পানির ব্যবসার ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।
অ্যাপল স্টোরগুলো বাকিদের চেয়ে আলাদা
অ্যাপল স্টোরগুলোয় যেন তেন প্রকারেণ পণ্য বিক্রি একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে না। গ্রাহকের অ্যাপলের পণ্য ব্যবহারের অভিজ্ঞতার ওপর নজর দেওয়া হয়। গ্রাহক চাইলে দীর্ঘক্ষণ সময় নিয়ে এখানকার পণ্যগুলো দেখতে পারে। এজন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে পারে। ইচ্ছা হলে, বিক্রেতাদের অ্যাপলের পণ্যগুলো সম্পর্কে বিক্রেতাদের যতখুশি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে। কীভাবে একটি iPhone এবং MacBook ব্যবহার করতে হয়, তা শিখতে পারে বিপণি থেকেই।
আরও পড়ুন- অজিতের দলত্যাগের জল্পনার ‘কোনও সত্যতা নেই’: শরদ পাওয়ার
অতিরিক্ত যা পাবেন
বর্তমানে বহু দোকানেই বিক্রেতারা অ্যাপলের পণ্য ব্যবহারে অভিজ্ঞদের নিয়োগ করে। যাতে তারা গ্রাহকদের ঠিকমতো বোঝাতে পারে। গ্রাহকদের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে চালনা করতে পারে। কিন্তু, অ্যাপল স্টোরগুলোয় যাঁরা বিক্রির দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের অ্যাপলের পণ্য সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অতুলনীয়। বিক্রেতা হিসেবে কেবল তাঁরাই পারেন গ্রাহকদের পণ্য কেনার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করতে।