India’s first prime minister: কঙ্গনা রানাওয়াত সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে, জওহরলাল নেহরু নন। সুভাষচন্দ্র বসুই স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। কঙ্গনা দাবি করেন যে, ১৯৪৩ সালে সুভাষচন্দ্র বোস একটি অস্থায়ী সরকার স্থাপন করেছিলেন। কঙ্গনার বলার কারণ, সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
সুভাষচন্দ্রের আহ্বান
(সুগত বোসের মহামহিম প্রতিপক্ষ, ২০১১-এ আছে) সুভাষচন্দ্র তাঁর ক্যাথে থিয়েটারে এক জ্বালময়ী বক্তৃতায় বলেছিলেন, 'ভগবানের নামে, বিগত প্রজন্মের নামে যাঁরা ভারতীয় জনগণকে এক জাতিতে ঢেলে দিয়েছেন এবং মৃত বীরদের নামে- যাঁরা আমাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের ঐতিহ্য দিয়ে গেছেন– আমরা ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানাই, লোকেরা আমাদের ব্যানারের চারপাশে সমাবেশ করবে এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য ধর্মঘট করবে।'
যাঁরা সরকারে ছিলেন
সুভাষচন্দ্র বসু এই অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। তিনি বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা দফতর নিজের হাতে রেখেছিলেন। এসি চ্যাটার্জিকে দেওয়া হয়েছিল অর্থ দফতরের দায়িত্ব। এসএ আয়ার ছিলেন প্রচারমন্ত্রী। লক্ষ্মী স্বামীনাথন ছিলেন নারীকল্যাণ দফতরের দায়িত্বে। সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ ফৌজের বেশ কয়েকজন অফিসারকেও মন্ত্রিসভায় পদ দেওয়া হয়েছিল।
কারা দিয়েছিল স্বীকৃতি?
আজাদ হিন্দ সরকার ব্রিটেনের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় উপনিবেশগুলোতে (প্রাথমিকভাবে বার্মা, সিঙ্গাপুর এবং মালয়) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সমস্ত ভারতীয় সাধারণ নাগরিক এবং জাপানিদের হাতে বন্দি সামরিক কর্মীদের দায়িত্ব নিয়েছিল। জাপানি বাহিনী এবং বোসের আজাদ হিন্দ ফৌজ, ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে যে অঞ্চলগুলো দখল করেছিল, তার সবকটির ওপর কর্তৃত্ব দাবি করেছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ। শুধমাত্র মালয়েই ৩০ হাজার ভারতীয় আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। জার্মানি, জাপান, ইতালি ছাড়াও ক্রোয়েশিয়া, চিন, থাইল্যান্ড, বার্মা, মাঞ্চুরিয়া এবং ফিলিপাইনসের সরকার আজাদ হিন্দ ফৌজের সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সরকার গঠনের পরই আজাদ হিন্দ সরকার ব্রিটেন এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
আরও পড়ুন- রাত পোহালেই বিরল সূর্যগ্রহণ! বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাবে ৪০০ বছর পর
অতীতে অস্থায়ী সরকার গঠনের চেষ্টা
আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের ২৮ বছর আগে কাবুলে ভারতীয় স্বাধীনতা কমিটি নামে (আইআইসি) প্রবাসীদের একটি সংগঠন অস্থায়ী সরকার গঠনের চেষ্টা চালিয়েছিল। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন রাজা মহেন্দ্রপ্রতাপ। প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল মৌলানা বরকতুল্লাহকে।