Advertisment

India's big success: বিরাট সাফল্য ভারতের! মোদী সরকারের চালে চাপে পড়ে গেল আমেরিকাও

Modi government: ইরানের রাজধানী তেহরানে ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্টস অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (পিএমও) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কেন্দ্রীয় জাহাজ, বন্দর ও জলপথ পরিবহণমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল উপস্থিত ছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mumbai north central bjp candidate ujjwal nikam Instead of poonam mahajan, পুনম মহাজনের বদলে মুম্বই নর্থ সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রে থেকে বিজেপি প্রার্থী উজ্জ্বল নিকম

Modi-India: এই চুক্তিতে বিরাট লাভ হল ভারতের। (ফাইল ছবি)

India’s stakes in Iran’s Chabahar port: কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইরানের চাবাহার বন্দরে একটি টার্মিনাল পরিচালনার জন্য ভারত ও ইরান সোমবার ১০ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চাবাহার ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি গভীর জলবন্দর। এটি ভারতের নিকটতম ইরানের বন্দর। খোলা সমুদ্রে অবস্থিত। এখানে বড় পণ্যবাহী জাহাজ সহজে এবং নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে।

Advertisment

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি
ইরানের রাজধানী তেহরানে ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্টস অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (পিএমও) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কেন্দ্রীয় জাহাজ, বন্দর ও জলপথ পরিবহণমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী, আইপিজিএল চুক্তির সময়কালের মধ্যে বন্দরটিকে সাজাতে এবং পরিচালনার জন্য প্রায় ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। আর, ভারত এবং ইরান- উভয়পক্ষই পরবর্তীতে চাবাহারে তাদের সহযোগিতা প্রসারিত করবে। ভারত, এই বন্দর সম্পর্কিত পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য পারস্পরিকভাবে চিহ্নিত প্রকল্পগুলোর জন্য ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য একটি ক্রেডিট উইন্ডোও অফার করেছে।

চাবাহার বন্দর এবং ভারত
পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর থেকে ৭২ কিলোমিটার পশ্চিমে আধুনিক চাবাহার বন্দর ১৯৭০-এর দশকে তৈরি হয়েছিল। ১৯৮০-এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় তেহরান এই বন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব উপলব্ধি করে। ২০০২ সালে, এই বন্দর নিয়ে ভারত ও ইরানের মধ্যে আলোচনা হয়। সেই সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সৈয়দ মহম্মদ খাতামি। আর, ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন হাসান রুহানি। তাঁর সঙ্গে ভারতের তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্রের বৈঠক হয়। এরপর ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে, প্রেসিডেন্ট খাতামি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী কৌশলগত সহযোগিতার একটি রোডম্যাপে স্বাক্ষর করেন। দুই দেশ চাবাহার-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের যৌথ অগ্রগতিতে সম্মত হয়। এরমধ্যে চাবাহারকে পারস্য উপসাগর, আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া এবং ইউরোপের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়াকে সংযুক্ত করার জন্য ভারত ব্যবহার করতে চায়।

আরও পড়ুন- বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধের নামে নিজেই কাঠগড়ায় দিল্লি পুলিশ-কেন্দ্র, শোধরানোর চেষ্টা আদালতের

খাতামি ও বাজপেয়ীর নয়াদিল্লি ঘোষণা
খাতামি ও বাজপেয়ীর স্বাক্ষরিত নয়াদিল্লি ঘোষণায় ভারত-ইরানের, 'ক্রমবর্ধমান কৌশলগত প্রয়োজন মেটাতে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক' গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। ভারতের জন্য, চাবাহার বন্দরের কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। এটি আফগানিস্তানে পৌঁছনোর একটি রুট। যার সাহায্যে পাকিস্তানকে এড়িয়ে ভারত আফগানিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে। কিন্তু, রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ বদলাতে শুরু করে। সেই কারণে, ভারত ইরানের প্রকল্পটিকে এতদিন থামিয়ে রেখেছিল। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ইরানকে 'মন্দ অক্ষ'-র সদস্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। আর, নয়াদিল্লিকে তেহরানের সঙ্গে তার কৌশলগত সম্পর্ক ত্যাগ করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আর, তার জন্যই চাবাহার প্রকল্পটি এতদিন আটকে ছিল।

India business USA Iran
Advertisment