ইন্ডিগো, দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা সোমবার (১৯ জুন) প্যারিস এয়ার শোতে ৫০০ এয়ারবাস A320neo ফ্যামিলি প্লেন কেনার মেগা অর্ডার দিয়ে ইতিহাস তৈরি করল। এটি একটি বিমান সংস্থার দেওয়া সবচেয়ে বড় অর্ডার (অর্ডার করা বিমানের সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে)। যা ৪৭০ এয়ারবাস এবং বোয়িং বিমান কেনার জন্য এয়ার ইন্ডিয়া ফেব্রুয়ারিতে যে অর্ডার দিয়েছিল, তাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
Advertisment
ইন্ডিগো ভারতীয় বিমান পরিবহণের বাজারে ৬০ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহণ করে। এবার তারা যে পরিমাণ বিমান অর্ডার করল, তা অন্তত ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ভারতের বিমান পরিবহণে বাজারে ইন্ডিগোর আধিপত্য নিশ্চিত করবে। একইসঙ্গে সংস্থার আধিপত্য ধরে রাখা নিয়ে বিমান কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যও পূরণ করবে। ইন্ডিগোর বেশ কিছু বিমান কার্যকারিতা হারাতে চলেছে। তারপরও ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বিমানের জোগান অব্যাহত থাকায় ইন্ডিগোর আর তেমন কোনও সমস্যা না-হওয়ারই কথা। একইসঙ্গে পুরোনো বিমান যেমন বদলানো হবে, তেমনই নতুন বিমান এই সংস্থায় যুক্ত হওয়ায় ইন্ডিগোর বহর বাড়বে।
ইন্ডিগোর মেগা অর্ডার ভারতের বিমান চলাচলের বাজার বৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে এই সংস্থার আশার প্রতিফলন ঘটায়। বিশ্বে ইন্ডিগো ইতিমধ্যেই তৃতীয় বৃহত্তম বিমান পরিবহণ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। এর বহর এবং বাজার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার আগে তার যা যাত্রী পরিবহণের পরিমাণ ছিল, তাকেও বর্তমানে ছাড়িয়ে গিয়েছে এই বিমান সংস্থা। ভারতের অভ্যন্তরে তাদের যাত্রী পরিবহণের পরিমাণ মে মাসেই ১.৩২ কোটিরও বেশি।
এবার এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তির পর ইন্ডিগোর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক পিটার এলবার্স সাংবাদিকদের বলেন, 'এই বিমান কেনার অর্ডার আগামী ১০ বছর পর্যন্ত ইন্ডিগোর যাত্রী পরিবহণকে সুরক্ষিত করবে। বিমান চালানো সম্ভবত অন্য যে কোনও ব্যবসার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা। ভারতকে একটি বিমান চালনা সংস্থার শক্তিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং বিশ্বব্যাপী তার রেশ পৌঁছে দেওয়া ভারত সরকারের লক্ষ্য। আমাদের এই বিপুল পরিমাণ বিমান কেনার অর্ডার দেওয়া ভারত সরকারের সেই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি এই অর্ডার আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সফল করা এবং আমাদের বিমান সংস্থার নেটওয়ার্ককে দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে আরও মজবুত করতে সহায়তা করবে।'