Advertisment

Explained: ঠাকুমা ইন্দিরার ইতিহাসই কি ফিরল নাতি রাহুলের জীবনে?

ইন্দিরা গান্ধীর সাংসদ পদও বাতিল হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Rahul_Indira

রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ গান্ধী পরিবারের আরেক সদস্য, তথা রাহুলের ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর কথা অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে। নাতি রাহুলের মতই ঠিক ৪৮ বছর আগে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গেও।

Advertisment

ইন্দিরা গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ
এলাহাবাদ হাইকোর্ট, নির্বাচনী প্রচারে দুর্নীতিমূলক কাজে জড়িত থাকায় ইন্দিরা গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর এই রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই রায়ের পর ইন্দিরা গান্ধীকে তাঁর সরকারি কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কথায় বলে ইতিহাস পুনরাবৃত্তিমূলক। ৪৮ বছর পর যেন, ঠিক তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল গান্ধী পরিবার।

ইতিহাস পুনরাবৃত্তিমূলক
ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর মতই তাঁর নাতি রাহুল গান্ধীও আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন। ২০১৯ সালের মানহানি মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুরাটের এক আদালত। তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যার জেরে ২৫ মার্চ, শুক্রবার লোকসভার সচিবালয় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই রায়ে ১৯৭৫ সালের ১২ জুন ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সাংসদ পদমর্যাদা হারান। নির্বাচনে তাঁর জয়কে আদালত বাতিল ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন- সাংসদ পদ খারিজ হওয়ায় রাহুল অনেক সুযোগ হারালেন, সেগুলো কী কী?

ইন্দিরার বিরুদ্ধে মামলা
ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে যে মামলাটি দায়ের হয়েছিল, তা 'রাজ নারায়ণ বনাম শ্রীমতি ইন্দিরা নেহরু গান্ধী' মামলা নামে বিখ্যাত। মামলাটিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন জগমোহন লাল সিনহা। তাঁর রায় ভারতীয় রাজনীতির গতিপথই বদলে দিয়েছিল। ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে হারের পর মামলাটি দায়ের করেছিলেন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা রাজ নারায়ণ।

এলাহাবাদ হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে, ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন রাজ নারায়ণ। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ধারা ১২৩ ভেঙেছেন ইন্দিরা গান্ধী। আর, নির্বাচনে জেতার জন্য বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক আচরণের আশ্রয় নিয়েছেন। তাই ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনকে বাতিল ঘোষণা করা হোক। তাঁর সাংসদপদ খারিজ করা হোক।

CONGRESS rahul gandhi Indira Gandhi
Advertisment