Advertisment

ইন্দিরা জয়সিংদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি ঠিক কী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে বলা হয়েছে, বিগত ইউপিএ সরকারের আমলের অতিরিক্ত সলিলিটর জেনারেল ইন্দিরা জয়সিং সরকারি কর্মচারী থাকাকালীন বিদেশি অনুদান নিয়ে এফসিআরএ আইন লঙ্ঘন করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CBI, Lawyers Collective

সিবিআই লইয়ার্স কালেক্টিভ নামের এনজিও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে

সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং ও আনন্দ গ্রোভারের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি করল সিবিআই। এ বছরের জুন মাসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্দিরা ও আনন্দ পরিচালিত এনজিও লইয়ার্স কালেকটিভ-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগের ভিত্তিতে ফরেন কন্ট্রিবিউশনস রেগুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ) লঙ্ঘনের জন্য তাঁদের কাছে আবেদন জানানো হয়।

Advertisment

এই মামলায় আনন্দ গ্রোভারকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, বিদেশি অনুদান নিয়ে আয়কর রিটার্নে গরমিল করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই এনজিও-র বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। অভিযোগ ছিল ওই বিদেশি অনুদান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ফের জুন মাসে মন্ত্রক ইয়ার্স কালেক্টিভের এফসিআরএ অ্যাকাউন্ট ৬ মাসের জন্য বন্ধ করে দেয় এবং কেন ওই অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেওয়া হবে না, সে কথা জানতে চেয়ে একটি নোটিসও দেয় ওই এনজিও-কে।

আরও পড়ুন, এন আর সি ও আসামে ‘বিদেশি পাকড়াও’ করার নানা হাতিয়ার

এ বছরের মে মাসে লইয়ার্স ভয়েস নামের একটি সংগঠনের আবেদনের ভিত্তিতে বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন নিয়ে ইন্দিরা জয়সিংদের এনজিও-র বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে বলা হয়েছে, বিগত ইউপিএ সরকারের আমলের অতিরিক্ত সলিলিটর জেনারেল ইন্দিরা জয়সিং সরকারি কর্মচারী থাকাকালীন বিদেশি অনুদান নিয়ে এফসিআরএ আইন লঙ্ঘন করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তদন্তে জানা গিয়েছে, বহুল পরিমাণ বিদেশি অনুদান খরচ হয়েছে বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া এবং স্থানীয় যাতায়াতে। আনন্দ গ্রোভার এবং দেশের বিভিন্ন অংশের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পিছনে এই ব্যয় হয়েছে ধর্না, সাংসদদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বিভিন্ন বৈঠকের আয়োজনের জন্য। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য, এইচআইভি এইডস বিলের খসড়া আইনের ব্যাপারে এই বৈঠকগুলি সংঘটিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন, ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছলে ভারতের কী হতে পারে?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও বলছে, বিদেশি অনুদানের ১৩ লক্ষ টাকা লইয়ার্স কালেকটিভ খরচ করেছে বিভিন্ন সাংসদ এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে অ্যাডভোকেসিতে ও ধর্না ও মিছিল আয়োজনে এবং ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৪ সালে খসড়া আইন তৈরি সম্পর্কিত বৈঠকে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তদন্তে জানা গিয়েছে বিদেশি অনুদান নিয়ে গ্রোভার ২০০৮ সালে রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিশেষ দূত হয়ে হওয়ার পর ভ্রমণ করেছেন। ২০১৩ সাল নিউ ইয়র্কে লইয়ার্স কালেক্টিংয়ের তরফ থেকে যে চ্যারিটি ডিনার আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে যোগ দিয়েছিলেন গ্রোভার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে এগুলি সবই এফসিআরএ লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে।

Read the Full Story in English

cbi
Advertisment