আগামী তিন দিনের মধ্যে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) মুদ্রানীতি কমিটি (এমপিসি) বৈঠক করবে এবং দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আলোচনা করবে। মুদ্রানীতি কমিটি হল একটি ছয় সদস্যের সংস্থা। রিজার্ভ ব্যাংক এবং কেন্দ্রীয় সরকার থেকে তিনজন করে মনোনীত সদস্য এই কমিটিতে আছেন।
কমিটির কাজ
তাঁরা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দায়িত্বে। সাধারণত, এই কমিটি প্রতি দুই মাস পরপর বৈঠক করে আর রেপো রেট পরিবর্তন করে। লক্ষ্য থাকে একটাই, বাজারে যাতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে না-যায়। জিনিসপত্রের দাম যেন সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে না-যায়।
রেপো রেট
যে সুদের হারে ব্যাংকগুলো রিজার্ভ ব্যাংকের থেকে ঋণ নেয়, তাকেই রেপো রেট বলে। রেপো রেট বৃদ্ধি পেলে ব্যাংককে বেশি অর্থ সুদ দিতে হয়। আরবিআইয়ের রেপো রেট বৃদ্ধির সঙ্গে ব্যাংকগুলোও তখন গ্রাহকদের ঋণের ওপর সুদের হার বৃদ্ধি করে। আবার মুদ্রাস্ফীতি যখন বেড়ে ৬%-এর ওপরে চলে যায়, তখন রিজার্ভ ব্যাংক রেপো রেট বৃদ্ধ করে।
যাঁরা সমস্যায় পড়েন
বিভিন্ন ব্যক্তি গাড়ি কেনার জন্য অথবা বাড়ি কেনার জন্য বা অন্য কোনও কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ করেন। রেপো রেট বাড়লে, সেই সব ব্যক্তিদের বেশি অর্থ সুদ ব্যাংকগুলোকে দিতে হয়। ব্যাংকগুলো যখনই সুদের হার বাড়িয়ে দেয়, তখন অতিরিক্ত খরচের ভয়ে গাড়ি, বাড়ি, পণ্য এবং পরিষেবার প্রতি মানুষের চাহিদা কমে যায়।
বৃহস্পতিবার বৈঠক
তার মধ্যেই ১০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার মুদ্রানীতি কমিটি রেপো রেট নিয়ে তার সিদ্ধান্ত নেবে। সাধারণ মানুষের আশা, আরবিআই এবারের বৈঠকে রেপো রেট বাড়াবে না। কিন্তু, বর্তমানে বাজারে মুদ্রাস্ফীতি তুঙ্গে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। তারপরও যদি রিজার্ভ ব্যাংক রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখে, আশঙ্কা কিন্তু যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- মেলামেশা বাড়িয়েছেন জনতার সঙ্গে, বিদ্রোহের পর বদলে গিয়েছেন পুতিন?
মুদ্রাস্ফীতির তথ্য
কারণ, ১৪ আগস্ট জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতির তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে। বাজারের যা হাল, তাতে স্পষ্ট যে ১৪ আগস্টের পর মুদ্রাস্ফীতি কমাতে ব্যবস্থা নিতে পারে রিজার্ভ ব্যাংক। আর, তার সাধারণ পথই হল রেপো রেট বাড়িয়ে দেওয়া।