Advertisment

Explained: পাইকারি বাজারের প্রবল পায়াভারী, মুদ্রাস্ফীতি রুখতে আরও সুদ-বৃদ্ধি কি আসন্ন?

এর সঙ্গে জ্বালানির হুতাশন। জ্বালানিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৩৮.৬৬ শতাংশ। নির্মাণ-পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি ১০.৮৫ শতাংশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bazar

পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড করেছে। হোলসেল প্রাইজ ইনডেক্স এপ্রিলে পৌঁছেছে ১৫. ১ শতাংশে। শাকসবজি, ফল, দুধ এবং জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলেই এই হাল। সরকার মঙ্গল বার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। হোলসেল প্রাইজ ইনডেক্স ডবল ডিজিটে ব্যাটিং চালাচ্ছে ১৮ মাস ধরে।

Advertisment

গত সপ্তাহে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল, তাও রেকর্ডভঙ্গকারী ছিল। আট বছরের সর্বোচ্চ হয়ে ধরা দিয়েছে সে। এপ্রিলে হয়েছে ৭.৭৯ শতাংশ। এর ফলে আরও এক ধাপ রেপো বাড়ানোর সম্ভাবনা ঘনীভূত হয়েছে। আশা করা যায় জুনেই সেই বৃদ্ধি-কর্মটি হতে পারে। বাড়তে পারে ৪০ বেসিসপয়েন্টস বা দশমিক ৪০ শতাংশ।

কেন এই মুদ্রাস্ফীতির চরমাবস্থা?
হাতে গরম কারণটা হল তাপপ্রবাহ। হিট ওয়েভের ফলে পচনশীল পণ্য যেমন ফল, শাকসবজি, দুধ ইত্যাদির দাম বেড়ে গিয়েছে। দাম বেড়েছে চায়েরও। পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতি এপ্রিলে চার মাসে সর্বোচ্চ হয়েছিল। পৌঁছে যায় ১১.১ শতাংশে। এর সঙ্গে জ্বালানির হুতাশন। জ্বালানিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৩৮.৬৬ শতাংশ। নির্মাণ-পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি ১০.৮৫ শতাংশ। এই দুয়ে মিলে স্ফীতি-টা বাড়াচ্ছে, বিরাট, পর্বতের মতো ঢেউ দেখা যাচ্ছে যেন।

কোভিডের কারণে অর্থনীতির নুন আনতে পান্তা ফুরোচ্ছিল। যখন কোভিড থেকে বেরিয়ে ফের গুটিপোকা থেকে প্রজাপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখা-টা চলছিল, তখন যুদ্ধের ধাক্কা। পরিবহণ ব্যবস্থা নয়-ছয় হয়ে গেল সারা পৃথিবীর। দাম বাড়তে লাগল, বলা যায় খাদের ধারে দাঁড়ানো অর্থনীতিকে পিছন থেকে একটা জোর ধাক্কা দিল।

আরও পড়ুন- এ দেশে নয়া সন্তের জন্ম, নামেই ‘ঈশ্বর সহায়’, সন্তের নেপথ্য-কাহিনি কী?

মুদ্রাস্ফীতি কী প্রভাব ফেলবে?
ডবল ডিজিট। পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির এই হারের ঠেলায় অর্থনীতিবিদদের কালঘাম ছোটার জোগাড়। কোভিড কাটিয়ে ওঠার জন্য জনগণকে চাপ না দেওয়ার জন্য সুদ বাড়ায়নি দীর্ঘ সময় আরবিআই। কারণ সুদ বাড়ানো মানে বিভিন্ন ঋণেও সুদ বাড়িয়ে দেবে ব্যাঙ্কগুলি। এখন তো ঋণ করে নানা কিছু করতে চাইছে বহু জন। জীবিকার সন্ধানে ভারত যেন পাগলপারা। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির এমন রকেট উত্থানের চাপে সুদ বাড়াতে হয়েছে আরবিআইকে। শেষ পর্যন্ত। এবং আরও বাড়াতে হবে।

জুনে দশমিক ৪০ শতাংশ, তার পর অগস্টে দশমিক ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে রেপো, ২০২৩-এর মাঝামাঝি গিয়ে যা পৌঁছতে পারে ৫.৫ শতাংশে। বলছেন আইসিআরএ-র মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার। মে মাসের চার তারিখে এক হঠাৎ-বৈঠকে রেপো রেট দশমিক ৪০ শতাংশ বা ৪০ বেসিসপয়েন্টস বাড়ায় আরবিআই-এর মনিটারি কমিটি। রেপো পৌঁছয় ৪.৪০ শতাংশে। সিআরআর দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে করে ৪.৫০ শতাংশ।

Read full story in English

Inflation Repo Rate Wholesale Price Index
Advertisment