Advertisment

Katchatheevu controversy: কাচাথিভু কি স্রেফ রাজনৈতিক উসকানি, ভোটের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বাজি রাখা?

Domestic politics: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দ্বীপ শ্রীলঙ্কার হাতে চলে যাওয়ার জন্য কংগ্রেস এবং ডিএমকে-কে একহাতও নিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Katchatheevu, Modi

Katchatheevu-Modi: তামিলনাড়ু বিজেপির প্রধান কে আন্নামালাইয়ের আরটিআইয়ের পরেই সূত্রপাত হয় বিতর্কের। (ছবি- টুইটার)

International agreements are best left alone in domestic politics: লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি খুঁচিয়ে তুলেছে কাচাথিভু বিতর্ককে। তামিলনাড়ু বিজেপির প্রধান কে আন্নামালাইয়ের দায়ের করা আরটিআইয়ের জেরে উসকে উঠেছে এই বিতর্ক। কিন্তু, তাতে নয়াদিল্লি এবং কলম্বোর মধ্যে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত টানাপোড়েন। ইতিমধ্যে এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জড়িয়ে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও।

Advertisment

বিষয়টি 'বিচারাধীন'

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছেন, ইন্দিরা গান্ধীর সরকার 'সম্পূর্ণ বোকার মত' কাচাথিভু দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তিনি এই দ্বীপ শ্রীলঙ্কার হাতে চলে যাওয়ার জন্য কংগ্রেস এবং ডিএমকে-কে একহাতও নিয়েছেন। তাতে বিতর্ক আরও বেড়েছে বই কমেনি। এই পরিস্থিতিতে উত্তাপ কমানোর চেষ্টা করেছেন বিদেশমন্ত্রী জয়ংশকর। ভারত সরকার কাচাথিভু পুনরুদ্ধার করতে চাইছে কি না, এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, বিষয়টি 'বিচারাধীন' বলে এড়িয়ে যান। তিনি এই বিষয়ে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ারাম জয়ললিতার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশনের কথাও তাঁর বক্তব্যের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র

তবে, এই বিতর্ককে খোলা মনে নিচ্ছে না তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দল ডিএমকে। যথারীতি খোলামনে গ্রহণ করেনি কংগ্রেসও। উভয় দলই অভিযোগ করেছে, এই বিতর্ক আসলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। লোকসভা নির্বাচনের আগে যা খুঁচিয়ে তোলা হয়েছে। আর, এই বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও বিজেপি বিষিয়ে তুলেছে বলেই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।

আন্তর্জাতিক চুক্তির ভিত্তি

যখন দুই দেশ কোনও চুক্তি করে থাকে, তখন নানা বিষয়কে মাথায় রাখা হয়। তার মধ্যে যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ স্বার্থ থাকে। তেমনই মাথায় রাখা হয় আন্তর্জাতিক আইনকেও। পাশাপাশি, বিভিন্নস্তরে সেই চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। যাতে চুক্তির ব্যাপারে কোনওপ্রকার অস্পষ্টতা না থাকে। ভারতের ক্ষেত্রে যেমন কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তি করার সময় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর মতামত গ্রহণ করে থাকে।

আরও পড়ুন- সুভাষচন্দ্র দেশের প্রথম ‘প্রধানমন্ত্রী’, কথাটা কি আদৌ ভুল?

সাধারণত মেনে চলা হয়

তবে, একটি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে একবার স্বাক্ষরিত হয়ে গেলে, চুক্তিবদ্ধ দেশগুলো তা মেনে চলে। দেশের অভ্যন্তরে সরকার বদল হয়। কিন্তু, তাতে চুক্তির ওপর সাধারণত প্রভাব পড়ে না। কারণ, সেটা আন্তর্জাতিক চুক্তি। যেমন- ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি। যেমন- বিরোধী আসনে থাকাকালীন বিরোধিতা করলেও এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০১৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তির চুক্তি করে ভারত। হেগের স্থায়ী আন্তর্জাতিক আদালতে হেরে যাওয়া নয়াদিল্লি, রায় মেনে নিতে বাধ্য হয়।

DMK Modi Government CONGRESS bjp AIADMK loksabha election 2024
Advertisment