আজ (২২ এপ্রিল) বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে সারা পৃথিবী জুড়ে পরিবেশ সংরক্ষণের শপথ নেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সাল এই বার্ষিক অনুষ্ঠানের ৫০ তম বর্ষ। এবারের ধরিত্রী দিবসের থিম ক্লাইমেট অ্যাকশন।
২০০৯ সালে রাষ্ট্রসংঘ ২২ এপ্রিলকে আন্তর্জাতিক ধরিত্রী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইটে বলেন, “আন্তর্জাতিক ধরিত্রী দিবসে আমাদের প্রতি যত্নশীল ও সমব্যথী হবার জন্য আমরা ধরিত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আসুন আমরা সকলে মিলে শপথ নিই আরও পরিচ্ছন্ন, আরও স্বাস্থ্যকর, আরও উন্নত এক গ্রহ তৈরির কাজে হাত লাগাব। কোভিড ১৯-এর মোকাবিলায় যাঁরা সামনের সারিতে থেকে কাজ করছেন, তাঁদের উদ্দেশে ফের সোচ্চার ধন্যবাদ।”
রাষ্ট্রসংঘ তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, “বসুন্ধরা স্পষ্টত আকুতি জানাচ্ছে। প্রকৃতি ভুগছে। অস্ট্রেলিয়ার আগুন, রেকর্ড তাপমাত্রা, কেনিয়া ভয়াবহ পঙ্গপাল হানা। এবার আমরা কোভিড-১৯-এর মুখোমুখি, যে বিশ্বব্যাপী অতিমারী আমাদের বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত।”
রাষ্ট্রসংঘের মহাসটির আন্তোনিও গুত্তেরেজ বলেছেন, “আমাদের গ্রহকে করোনাভাইরাস এবং জলবায়ুর উপর আঘাত ঠেকাতে সক্রিয় হতে হবে।”
ধরিত্রী দিবস কী?
১৯৭০ সালে প্রথমবার ধরিত্রী দিবস পালিত হয়, সেবার ২০ মিলিয়ন মানুষ পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন। এ ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৯ সালে সান্তা বারবারায় তেল উপচে পড়া থেকে, যার সঙ্গে ধোঁয়াশা ও দূষিত নদীর মত ইস্যুগুলিও জুড়ে গিয়েছিল।
পরবর্তী ৫০ বছরে পরিবেশ সক্রিয়তায় ধরিত্রী দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্যারিস চুক্তিতে ২০০ দেশ বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস নিষ্কাশন কমাবার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ধরিত্রী দিবসে স্বাক্ষর করেছিল।
ধরিত্রী দিবস ২০২০
এ বছর ধরিত্রী দিবস পালিত হচ্ছে করোনাভাইরাস অতিমারীর মধ্যে। রাষ্ট্রসংঘ তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, “জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের হাতে প্রকৃতির বদল ও বনভূমি হ্রাস, জমির চরিত্র বদল, কৃষি ও পশুপালনের মাত্রাছাড়া বৃদ্ধি এবং বেআইনি বন্যপ্রাণ ব্যবসার বৃদ্ধির ফলে কোভিড ১৯-এর মত পশু থেকে মানুষে সংক্রামক রোগ বাড়তে পারে।”
ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট, তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, "একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে শারীরিক ভাবে কাছাকাছি জড়ো করবার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, কোভিড ১৯-এর জেরে তা এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে পর্যবসিত। ২০২০-র ধরিত্রী দিবস পৃ্থিবীর মানুষকে ২৪ ঘণ্টা বড় ছোট নানা কাজের মাধ্যমে সক্রিয় থাকার ডাক দিচ্ছে।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “৫০ তম বার্ষিকীতে নাগরিক সমাজের উদ্যোক্তারা আশা করেন ডিজিটাল পৃথিবী জলবায়ু বদল নিয়ে আশু কর্মসূচির লক্ষ্যে আলোচনা, ইতিবাচক কাজ, পারফরম্যান্স, ওয়েবিনার এবং বিভিন্ন সমর্থনমূলক কাজে ছেয়ে যাবে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন