Iran’s air attacks are the first that it has carried out directly against Israel: ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে, তাতে হুইদি রাষ্ট্রের কোনও গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি। ২০২৪ সালের ১৪ এপ্রিল, ইজরায়েলের অ্যাশকেলন থেকে দেখা গিয়েছে এই হামলার ছবি। এই ছবি অনুযায়ী, ইরান ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। যা রুখেছে ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা।
যা হয়েছে
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) অভিযোগ করেছে, ইরান ক্রুজ, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট এবং বিস্ফোরক ড্রোন-সহ ৩০০ বারেরও বেশি হামলা চালিয়েছে। ইরান জানিয়েছে, ২ এপ্রিল সিরিয়ার দামাস্কাসে তাদের কূটনৈতিক দফতরে ইজরায়েলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলা তারই প্রতিক্রিয়া। ২ এপ্রিলের হামলায় ইরানের একজন উচ্চপদস্থ সেনাকর্তা-সহ ১৩ জন প্রাণ হারান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তখনই প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
ইরানের হামলায় ইজরায়েলের কী ক্ষতি হয়েছে?
প্রাথমিকভাবে কোনও উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমানকে সাহায্য করেছে আমেরিকান, ব্রিটিশ এবং জর্ডানের বাহিনী। যার ফলে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জর্ডান, ইরাক এবং সিরিয়ার আকাশেই বাধা পেয়েছে। ফলে ইরানের বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েল পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। এমনটাই দাবি করেছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে ভৌগোলিক দূরত্ব অনেকটাই। ফলে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তার গতির ওপর নির্ভর করে ইজরায়েলে পৌঁছতে ১৫ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইজরায়েলের ওপর শুরু হওয়া হামলাগুলো ইরান ছাড়াও ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেন থেকেও হয়েছে। ইরান পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি সংঘাত-প্রবণ দেশে অর্থ বিনিয়োগ করে। ওইসব অঞ্চলে নিজেদের সামরিক সমর্থনকে জোরদার করতে সেখানকার জঙ্গিদের অর্থ দেয় বলে অভিযোগ।
ইরানের হামলা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে তিক্ত সংঘর্ষ এবং একে অপরের বিরুদ্ধে গোপন সামরিক পদক্ষেপের দীর্ঘ ইতিহাস আছে। তবে, এই প্রথমবার ইজরায়েলের অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে ইরান এমন বড় মাত্রার সরাসরি আক্রমণ শুরু করেছে। যদিও ইরান শনিবার রাতে এই হামলার পর বলেছে, এটা দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসের চত্বরে ইজরায়েলি হামলার জের। যা শুনে মনে হতে পারে, এরপর আর ইজরায়েলে ইরান হামলা চালাবে না। কিন্তু, এখনও ইজরায়েলের প্রতিক্রিয়া দেখা বাকি আছে।
আরও পড়ুন- ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা, দুই দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নয়াদিল্লি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়ায় কী বলেছে?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের হামলার নিন্দা করেছেন। ইজরায়েলের নিরাপত্তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। বাইডেন বলেছেন যে তিনি ইরানের আক্রমণের বিরুদ্ধে একটি কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া গঠনের জন্য জি-৭ বৈঠক ডাকবেন। বর্তমানে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবহ। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান সমস্যা বাইডেনের মাথাব্যথা বাড়িয়ে তুলেছে। আর, ইরান এবং ইজরায়েল- দুই দেশই ভারতের অত্যন্ত কাছের। দুই দেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ বাণিজ্যিক এবং সামরিক সম্পর্কও আছে। তাই বিস্তর সমস্যায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার তথা ভারত।