/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/10/ie-Israel-Hostage.jpg)
হামাসের দ্বারা অপহৃত গাজায় পণবন্দি ইয়োচেভেদ লিফশিটজ মঙ্গলবার মুক্তির পর ইজরায়েলের তেল আবিবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন। (ছবি: এপি)
গত ৭ অক্টোবর, যখন হামাস ইজরায়েলের ওপর তার ধ্বংসাত্মক আক্রমণ শুরু করে, তখন গাজায় পণবন্দি হওয়া অনেকের মধ্যে ইয়োচেভেদ লিফশিটজও ছিলেন। মঙ্গলবার, তিনি এবং অন্য একজন মহিলাকে প্যালেস্তাইনের ছিটমহল দুই সপ্তাহের বন্দিত্বের পর মুক্তি দিয়েছে। অবশ্য, হামাসের হাতে এখনও প্রায় ২২০ জন পণবন্দি। মুক্তির পর ৮৫ বছর বয়সি ইজরায়েলি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি নরক ভোগ করে এলাম। আমরা ভাবিনি জীবিত ফিরতে পারব।' ৮৫ বছর বয়সি সাংবাদিকদের সঙ্গে তেল আবিব হাসপাতালের বাইরে একটি হুইলচেয়ারে বসে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, 'আমাকে একটি মোটরবাইকে করে অপহরণ করা হয়েছিল।' অনেকটা বস্তাকে বাইকের পিছনে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত করে। তাঁর মাথা মোটরবাইকের একপাশে আর পা অন্যপাশে ঝুলে ছিল।
ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ভূগর্ভের বাংকারে কয়েক কিলোমিটার হাঁটিয়েছে। তিনি বলেন, 'মাটির নীচে সুড়ঙ্গের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক আছে। এটি দেখতে মাকড়সার জালের মতো।' ৮৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা জানিয়েছেন যে সেখানে ডাক্তাররা পণবন্দিদের নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাঁদের প্রথমে ২৫ জনের দলে এবং পরে ৫ জনের ছোট দলে ভাগ করা হয়। লিফশিৎজ বলেছেন, 'আমরা সেখানে পৌঁছনোর সঙ্গেই সেখানকার লোকেরা আমাদের বলেছিল যে তারা এমন লোক যারা কোরানে বিশ্বাস করে এবং তারা আমাদের ক্ষতি করবে না। তারা সুড়ঙ্গে যে অবস্থায় থাকবে, আমরাও সেই একই অবস্থা থাকব। সেখানে রক্ষী এবং একজন প্যারামেডিক এবং একজন ডাক্তার ছিলেন। যাঁরা আমার দেখভাল করছিলেন। আমাদের যে ওষুধটি দরকার তা আমাদের দেওয়া হয়েছিল।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/10/ie-Israel-Hostage-1.jpg)
হামাসের হুমকিকে গুরুত্ব না-দেওয়ার জন্য লিফশিটজ ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) দোষারোপ করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, ইজরায়েলের অত্যাধুনিক সীমান্ত বেড়া হামাসের হামলা রোধ করতে পারেনি। লিফশিটজ বলেন, 'শিন বেট এবং আইডিএফের সচেতনতার অভাব আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। হামাস তিন সপ্তাহ আগে আমাদের হুমকি দিয়েছিল। তারা মাঠ জ্বালিয়েছিল। আগুনের বেলুন ইজরায়েলে পাঠিয়েছিল। আইডিএফ তা গুরুত্ব দেয়নি।' মিশরীয় টিভিতে দেখানো ফুটেজ অনুসারে, মুক্তি পাওয়া দুই পণবন্দিকে গাজা থেকে মিশরের রাফাহ ক্রসিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয়েছিল। গাজা সীমান্তের কাছে নিরওজের কিবুতজে তাঁদের স্বামী-সহ ওই দুই মহিলাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।
রয়টার্স থেকে ইনপুট সহ