Benny Gantz quits Netanyahu govt: ইসরায়েলের মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ নেতানিয়াহুর সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধের অবসান ঘটাতে গত বছর হামাসের হামলার পর গঠিত যুদ্ধকালীন সরকারে যোগ দিয়েছিলেন বেনি গ্যান্টজ। অবশ্য তাঁর পদত্যাগ সেই জোটের অবসান ঘটাবে না। কিন্তু, পদত্যাগের পর গ্যান্টজ যে তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করতে চলেছেন, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত।
ইজরায়েলে নির্বাচনের দাবি
গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের ভূমিকাকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সমালোচনা করেছেন। কিন্তু, তাতেও গাজার ওপর আগ্রাসন থেকে সরতে নারাজ ইজরায়েল। এই সামরিক হামলায় অসংখ্য সাধারণ গাজাবাসীর মৃত্যু হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের। এমনকী, ইজরায়েলে অনেকেই নেতানিয়াহু সরকারের লাগাতার হামলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন না। আর, এরপরই গত ৯ জুন, রবিবার মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। গ্যান্টজ চলতি বছরের শেষের দিকে ইজরায়েলে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করারও দাবি জানিয়েছেন।
গ্যান্টজ যা বলেছেন
তবে, তিনি কিন্তু গাজাবাসীর সমর্থনে পদত্যাগ করেননি। বরং, পদত্যাগের পর এক বক্তৃতায় গ্যান্টজ বলেছেন, 'দুঃখের বিষয়, নেতানিয়াহু আমাদেরকে সত্যিকারের বিজয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছেন। যা চলমান বেদনাদায়ক যুদ্ধের প্রাপ্য। সেজন্য আমি আজ জরুরি সরকার থেকে বিদায় নিচ্ছি, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কিন্তু পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে।'
তাহলে পদত্যাগের কারণ কী?
বেনি গ্যান্টজ একজন প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) চিফ অফ স্টাফ ছিলেন। গ্যান্টজ ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর গঠিত জরুরি সরকারের অংশ ছিলেন। এই সরকারে ডানপন্থী লিকুদ পার্টির নেতানিয়াহু এবং ইয়োভ গ্যালান্ট, গ্যান্টজ এবং আইসেনকোটও যুক্ত হন। পাশাপাশি, মধ্যপন্থী ইসরায়েলি প্রতিরোধ পার্টি, অতি-জাতীয়তাবাদী, অতি-ডানপন্থী ওটজমা ইহুদিত পার্টির ইতামার বেন-গভির ও অন্যান্যরাও সরকারে যোগ দেন।
সরকারের লক্ষ্য
জরুরি সরকারের লক্ষ্য ছিল, যুদ্ধের সময় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু, সেই সময় ঠিক করতে একটা সমস্যা দেখা দেয়। তা হল, ৭ অক্টোবর হামাস যে ইসরায়েলি পণবন্দিদের নিয়ে গিয়েছিল, তাঁদের ছাড়িয়ে আনা সরকারের কাছে জরুরি ছিল। গ্যান্টজ সেই সময়ে বলেছিলেন যে নতুন সরকার, 'হামাস নামের সংগঠনটাকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলতে প্রস্তুত।' কিন্তু, আট মাস যুদ্ধের পর গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৫,০০০ এরও বেশি। এর অধিকাংশই নারী এবং শিশু। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক ভূমিকার নিন্দা করেছে অনেক দেশই।
আরও পড়ুন- আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ইতিহাসে, সৎনামীদের আগুনে এবার জ্বলল পুলিশ সুপারের ভবনও
নেতানিয়াহুর ব্যর্থতা
সরকারের লক্ষ্য পূরণে নেতানিয়াহুর ব্যর্থতার বিরুদ্ধে ইসরায়েলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গত বছর প্রায় ২৫০ জনকে পণবন্দি করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৮০ জন এখনও ইসরায়েলি সরকারের মতে গাজায় পণবন্দি রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, গত মাসে গ্যান্টজ নেতানিয়াহুকে যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে ৮ জুনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু, নেতানিয়াহু তেমন কোনও পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেননি। তারপরই পদত্যাগ করলেন গ্যান্টজ।